১০ দফা দাবিতে বগুড়ায় বিএনপির গণমিছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অবাধ-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে বগুড়ায় বিএনপি গণমিছিল করেছে।
আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১ টার দিকে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা এ গণমিছিল বের করে। মিছিলটি জলেশ্বরীতলা এলাকা হয়ে নবাববাড়ী রোডে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আলতাফুন্নেছা মাঠে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানুল্লাহ আমান বক্তব্য দেন।
তিনি জানান, আজকে সারাদেশে যুগপতভাবে এই গণমিছিল কর্মসূচি হচ্ছে। এই বগুড়ার সন্তান শহীদ জিয়াউর রহমারেন কৃতি সন্তান তারেক রহমান গত ১৯ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ বিনির্মাণে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমান উল্লাহ বলেন, কিন্তু তার আগে কিছু কথা বলতে চাই। প্রায় বছর খানেক আগে থেকে চালডাল নিত্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়, তখনই জনগনের জন্য রাজনীতি করা বিএনপি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যায়। ওই সময় নিত্যদ্রব্যের দাম কমানো, কৃষকদের বাঁচার জন্য জ্বালানি তেল, বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারেক রহমান। এসব দাবি নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা আরও বলেন, আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান তারেক রহমানের ঘোষিত দশ দফা দাবির এই যুগপৎ আন্দোলন প্রথম শুরু করা হোক এই বগুড়ার মাটি থেকে।
সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল নবী সালাম, ভিপি কে এম খায়রুলসহ সংগঠনটির অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির এ গণমিছিলে সংগঠনটির জেলা ও উপজেলা শাখার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির এ আয়োজনকে ঘিরে বগুড়া জেলা পুলিশ শহরজুড়ে সতর্ক অবস্থান নেয়।