নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও কারাবন্দিদের সঙ্গে অমানবিক আচরণে বিএনপির নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও কারাবন্দিদের সঙ্গে অমানবিক আচরণে নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
আজ বুধবার বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ নিন্দা জানান। ২০ ডিসেম্বর ২০২২ টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতা শহীদ রফিকুল ইসলাম ফারুকের স্মরণসভা থেকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মারুফ সরোয়ার, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সদস্য তৌফিকুর রহমান মাহিদ, বাঘিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরোয়ার হোসেন, বাঘিল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আশরাফ, ওমর আলী, ডাঃ বেলায়েত হোসেন, কাতুলী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি লুৎফর রহমান, বিএনপি নেতা মোঃ আশরাফ আলী, মোঃ রাশেদুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর খান, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ রানা খান, নাহিদ সরকার, তুহিন ইসলাম সোহাগ, পারভেজকে গ্রেফতার ও কারাবন্দি নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ এবং গত ১৮ ডিসেম্বর ভোর রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মোঃ হান্নান ভুইয়া, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৫০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ শাহজালাল ও তার ছেলে ছাত্রদল নেতা শেখ রাসেল, গত রাতে শাহআলী থানাধীন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল মহসিন, যুগ্ম সম্পাদক আতাউর, ডাঃ ফয়েজ, কোষাধক্ষ সাইফুল মালিক, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আব্দুল আজিজ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মাবেল ভুইয়া ও সদস্য মোঃ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করায় তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, টাঙ্গাইলে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার চলমান ভয়াবহ দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা মাত্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ^াসী নেতা-কর্মীদেরকে পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। নিপীড়ক সরকার মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগার পূর্ণ করে ফেলেছে। বর্তমানে কারাগারগুলোতে কোনো ঠাঁই নেই। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি থাকায় বর্তমানে কারাগারে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কারাবন্দি নেতাদের প্রাপ্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করছে ফ্যাসিবাদী সরকার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার সনদ ও কারাবিধি অনুযায়ী বন্দিরা যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা সেগুলো দেয়া হচ্ছে না। গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় আটক রাজবন্দিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারছে না। তাদের চিকিৎসার সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। এমনকি আটককৃত নেতাদের নিকটাত্মীয়রা মারা গেলে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্বজনের জানাজায় অংশ নিতে গেলে তাদের পরানো হচ্ছে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া। গায়েবি মামলায় কারাবন্দি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম খান তার মায়ের মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জানাজায় অংশ নিতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরা অবস্থায় সেখানে হাজির করেন। তিনি ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নেন। প্যারোলে মুক্তিপ্রাপ্ত একজন কারাবন্দির সঙ্গে এহেন আচরণ মানবাধিকার ও কারাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি নিশিরাতের ভোটের সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গায়েবি মামলায় আসামি হয়ে একজন রাজবন্দি। তার বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী অস্বীকার করেছেন তিনি এই মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি দুর্ধর্ষ জঙ্গি বা ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কোনো সন্ত্রাসী বা দাগি আসামি নন। তার সাথে এ ধরনের আচরণ চরম অমানবিক, বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি এমনকি আইন-আদালতের নির্দেশনার পরিপন্থি। তাদের এ ধরনের আচরণ শুধু বাংলাদেশের মানুষকে নয় বিশ্ব বিবেককেও নাড়া দিয়েছে।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সরকারের এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।