চট্টগ্রামে শনিবার বিএনপির গণমিছিল সফল করুন : ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২১ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে একটি ঘরে বন্দি করে রেখেছে। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাদের হাতে নেই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে। সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরেছে বিএনপি। আজকে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আগামী ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করবো, চট্টগ্রামের প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগীতা করবেন। তিনি নেতাকর্মীদেরকে গণমিছিল সফল করতে প্রস্ততি গ্রহণ করার আহবান জানান।
আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ২৪ ডিসেম্বর শনিবার কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্ততি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ এখন প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রযন্ত্র, এমনকি গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। ভয়ংকর আইন করে, ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের জনগণকে দাবিয়ে রাখছে। কিন্তু এসব করে আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবেনা। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতেই হবে। যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে, বিএনপি সে নির্বাচন মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে নতুন কোনো তালবাহানা জনগণ মানবে না।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ এখন চেষ্টা করছে যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না সে ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে। এজন্য তারা ইভিএম চালু করেছে। এই ইভিএম তাদের ভোট চুরির আরেকটা বড় হাতিয়ার। কী করে ভোট না পেয়েও নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায় : সেই ইভিএম তারা করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধীতা করছে। কারণ আওয়ামী লীগ এখন সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তারা জিততে পারবে না। তাই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এখন ভোটকেন্দ্র বিমূখ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, সমগ্র দেশ এখন আওয়ামী দুঃশাসনের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার কেবলমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর ওপরই জুলম নির্যাতন চালাচ্ছে না, তারা গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরকেও সত্য প্রকাশের কারণে নিষ্ঠুর নির্যাতন করছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিন, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, কৃষকদলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ওলামাদলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতী, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, আবদুল্লাহ আল ছগির, হাজী মো. ইলিয়াছ, জমির আহমদ, মন্জুর আলম মন্জু, ইলিয়াছ চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, মো. বেলাল, এস এম ফরিদুল আলম, হুমায়ুন কবির সোহেল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, মো. আসলাম, রাসেল পারভেজ সুজন, আজম উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, হাজী মো. মহিউদ্দীন, সাদেকুর রহমান রিপন, আশরাফ খান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, মো. হাসান, মনজুর কাদের, মামুন আলম, মুজিবুর রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।