বিএনপি নেতা আবদুস সালাম-শহীদ উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৮ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫৯ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় আবদুস সালাম ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিনসহ ৩৭ জনের জামিন আবেদন বিষয়ে শুনানি হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন। চার মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছেন ৪৮৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অন্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুজনকে (আমান উল্লাহ ও আবদুল কাদের) জামিন দেন আদালত। এর আগে রবিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ১৬২ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন একই আদালত। এর আগে গত সোমবারও মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন আবেদন নাকচ করেন আদালত। ওই দিনই আদালত বিএনপির আরও ১০৬ নেতা–কর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করেন। এর আগে রবিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ১৬২ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পরে পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না। ‘ওপরের নির্দেশে’ ওই দুই নেতার বাসায় ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করে ডিবি। তখন ডিবি আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছিল, পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাঁদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ৪ মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৮৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অন্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুজনকে (আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের) জামিন দেন আদালত। বিএনপি বলে আসছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় তাদের গণসমাবেশের যে কর্মসূচি ছিল, মূলত সেটি বানচাল করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করেছে।