চট্টগ্রামে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায়
বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় শহীদ জিয়া অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত : নাজিম উদ্দীন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের দল। চট্টগ্রামের মাটি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সে ঘোষণায় মুক্তিকামী জনতা উদ্ধত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিজয় দিবস ও দেশ গঠনে শহীদ জিয়া অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। আজকে যারা বড় গলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরি করে বেড়াচ্ছে তাদের বেশিরভাগই সে সময়ে ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ে জীবন পার করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন নিয়ে বীর বাঙালি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানাই না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নাজিম উদ্দীন বলেন, যে গণতন্ত্র, সাম্য ও মানবাধিকারের স্বপ্ন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিল, তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। দেশে আজ নব্য স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয়েছে। দেশ আজ লুটেরার হতে জিম্মি। অবৈধ ক্ষমতার মসনদ দীর্ঘায়িত করতে তারা জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিহিংসার স্বীকার। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস সহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কারাগারে বন্দী করে রেখেছে সরকার।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়েছে। যে ভোট আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল সেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন নাই। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সাংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। দেশের প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। এর থেকে আমাদের উত্তোরনের পথে বের করতে হবে। তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ বলেন, বিএনপি দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। এই পরিস্থিতি থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। এই সরকারের পতন ঘটাতে পারলেই দেশে সত্যিকারের বিজয় অর্জন হবে৷
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপি নেতা এম আই চৌধুরী মামুন, আবদুল হালিম স্বপন, ইকবাল হোসেন, ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালি, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, মহানগর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সহ সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নজরুল ইসলাম মিয়াজী, বিএনপি নেতা দিপক চৌধুরী কালু, হাসান উসমান চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন সাবু, মো. সালাউদ্দিন, আবদুল হাকিম, এস এম রব, ফজলুল হক সুমন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আসাদুর রহমান টিপু প্রমূখ।