শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বর্তমান সরকারকে বিদায় করতে হবে : খন্দকার মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান সরকারকে বিদায় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে জীবন দিয়ে আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন সেই স্বাধীনতার যে মূলমন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই মুক্তিযোদ্ধাদের এই বুদ্ধিজীবীদের সেই স্বপ্ন আমাদেরকেই বাস্তবায়ন করতে হবে।”
‘‘সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। বিদায়ের জন্য আমরা সারাদেশের মানুষ প্রস্তুত।”
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘আমরা শুরুতে ১০ দফা প্রনয়ন করেছি। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সকলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনে জনগণের যে সরকার হবে সেই সরকারে যদি জনগণে বিএনপিকে, বেগম খালেদা জিয়াকে, তারেক রহমানকে নির্বাচিত করে তাহলে দেশ আমরা কিভাবে মেরামত করব তার রুপরেখা ইনশাল্লাহ অচিরেই জনগণ ও জাতির সামনে উপস্থাপন করব।”
‘‘সেই রুপরেখা নিয়ে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা নিয়ে আসুন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। যত ষড়যন্ত্র থাকুক এই সরকারের আসলে সময় শেষ। আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন। তাই সাহস করে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে মুক্তিযোদ্ধাদের সেই সাহস, এই বুদ্ধিজীবীদের সেই সাহস ধারণ করে আমরা দেশকে মুক্ত করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি- আজকের বুদ্ধিজীবী দিবসে এটাই হোক আমাদের শপথ।”
গত ১৯৭২-৭৫ সাল ও গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই প্রবীন নেতা বলেন, ‘‘আমরা ১০ বিভাগীয় সমাবেশে দেখেছি, জনগণ পরিস্কারভাবে ব্যক্ত করেছে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, সমাজকে কুলষিত করেছে তারা এই রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না।”
‘‘জনগণ এখন পরিবর্তন চায় এবং সেই পরিবর্তন করা করছে? একটু ইতিহাস দেখেন বাকশালের হাত থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আবার এরশাদের সময়ে এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বৈরতন্ত্র হয়েছিল। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী, বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় পূণঃগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে বিএনপি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক সকল শক্তির দায়িত্ব এই সরকারের হাত থেকে এদেশকে রক্ষা করা এবং জনগণ যে পরিবর্তন চায় সেই পরিবর্তনের সূচনা করা। এই পরিবর্তন না করতে পারলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষেত্রে, যে ধবংসপ্রাপ্ত সেটা মেরামত করা সম্ভব নয়।”
বিএনপি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সকালে বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও সাংবাদিক এম এ আজিজ বক্তব্য রাখেন।