এ্যানি-খোকনসহ বিএনপির আরও ৫ নেতার ডিভিশন চেয়ে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পর এবার আরও পাঁচ নেতার পক্ষে হাইকোর্টে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এ আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
৫ জন হলেন- দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও দলটির নির্বাহীর কমিটির সদস্য বরিশালের আবুল হোসেন।
এদিকে ১৩ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ডিভিশন দেওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের দুটি রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আর এ পাঁচ জনের আবেদনের ওপর গত বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন- সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ৮ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া অন্যরা হলেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আ. সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। একই মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে আরও আছেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আ. সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৪ জন।
তবে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি ও নগদ টাকা পায় পুলিশ। এ সময় রিজভীসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করে।