এই সরকারের বিদায় ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না : ড. মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবো না। এই ফ্যাস্টিট সরকারের বিদায় ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না। সে লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য সকলকে আহ্বান জানাই।
আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং যারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের সকলকে স্মরণ করছি। ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বলতে চাই শহীদ বুদ্ধিজীবীরা এবং এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। সেই বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাংলাদেশে নিঃশেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইনের যে শাসন বিচারালয় এই সরকার তাদের দলের স্বার্থে ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছে। দলীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মবহির্ভূত যে হুকুম দিয়েছে সেগুলো তামিল করতে গিয়ে আমেরিকা থেকে নিষেধাজ্ঞা পড়েছে। র্যাবের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, আমাদের মৌলিক অধিকার সবকিছু এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সকল অধিকারকে হত্যা করেছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য এই সরকার দেশের অর্থনীতি লুণ্ঠন করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, দুর্নীতি করেছে, টাকা পাচার করেছে তাই আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসের ঠিকানায় চলে গেছে। আজকে আমদানি কারকরা এলসি করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এই সরকারের অর্থনীতির লুটপাটের কারণে হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হাসান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালে প্রিন্স, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, আমিনুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।