ক্ষমতাসীনদের রাজপথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে : ড. মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আগামী দিনে ‘ক্ষমতাসীনদের রাজপথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশস্থল নিয়ে দলটির সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে পুলিশ। কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপি কর্মীদের ওপর পুলিশের গুলিতে একজন নিহত এবং বহু আহত হয়। ওই সময়ে চারদিন দলীয় কার্যালয় পুলিশ বন্ধ করে রেখেছিলো। এসব ঘটনাবলীর পর মঙ্গলবার নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে বিএনপির এটি প্রথম সমাবেশ। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে এই সমাবেশে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অংশ নেয়। চারটি ট্রাক একসঙ্গে করে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে এই সমাবেশটি হয় ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনসহ নয়াপল্টনের ঘটনায় আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সমাবেশ শুরুর আগে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন পার্টি অফিসের সামনে। বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ সকল গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে কার্যালয়ের সামনের রাস্তা নাইটিংগেল-ফকিরাপুলের মোড় বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বাহিনীকে কঠোর অবস্থায় দেখা গেছে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের টার্গেট এই সরকারের পতন। তাদের পতন ঘটিয়ে আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার পরিবেশ সৃষ্টি এবং নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করতে আমাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নাই। আমরা বলতে চাই, আগামী দিনে আমরা তাদের (ক্ষমতাসীনদের) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে এবং এই রাজপথে ফয়সালা করার জন্য ব্যর্থ-ফ্যাসিবাদ-স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আপনারা সকলে রাজপথে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এছাড়া কোনো বিকল্প নাই।
কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, অনেকে বলেন, আপনারা কি করবেন? আওয়ামী লীগের হাতে পুলিশ আছে, আওয়ামী লীগের হাতে প্রশাসন আছে। আমি বলতে চাই- এদেশেও এই ধরনের স্বৈরাচার অতীতে ছিলো। এরশাদ স্বৈরাচারকে এদেশের ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করেছে, পাকিস্তানের সময় আইয়ুব খানকে বিদায় করেছে। আপনারা কয়েকমাস আগে দেখেছেন, শ্রীলংকায় সেই রাজাপাকসের ভাইদেরকে জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান করে তাদের বিদায় করেছে। তাই আমরা বলতে চাই, জনগণ প্রস্তুত।
জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসনের যারা কাজ করেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই-আপনারা জনগণের শত্রু নন, আপনারা জনগণের অংশ, আপনারা জনগণের পক্ষ। আপনারা শপথ নিয়েছেন দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। আপনারা যারা প্রশাসনে আছেন, আপনারা যারা পুলিশ বিভাগে আছেন- দয়া করে জনগণের পাশে অবস্থান গ্রহণ করুন। সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠেছে। সরকার চলে যাবে। কিন্তু আপনারা এদেশের সন্তান, আপনারা সরকারের অধীনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আপনারা থাকবেন, আপনাদের সাথে জনগণের যুদ্ধ নাই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আপনাদের সাথে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নাই। আমরা রাজনীতি করি, রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি আদায়ের রাজনীতি আমরা করি। আপনারাদের সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। আপনারা কোনো দলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। আপনারা শপথ নিয়েছেন এদেশের জনগণের স্বার্থে আপনারা কাজ করবেন। আপনারা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কারো নন, আর রাজনৈতিকভাবে আপনারা কারো সেবাদাসও নন। আপনারা জনগণের সেবক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তছনছ করে বর্বরতা চালানো হয়েছে। লন্ডভন্ড করেছে। সেখান থেকে সিনিয়র নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কম্পিউটার ভেঙে ফেলছে। যার লক্ষ্য ছিল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশ পন্ড করা। একইভাবে তারা বিভিন্ন বিভাগের গণসমাবেশ পন্ড করতে পরিবহন ধর্মঘট ও হামলা চালিয়ে গ্রেফতার করেছিল। তবুও আমাদের গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।
তিনি বলেন, সরকার ভেবেছিল আমাদের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করে সমাবেশ পন্ড করবে। কিন্তু সেটা করতে পারেনি। সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ভোটাধিকার হরণ করেছে। গণতন্ত্র হত্যা করে দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করে অবৈধভাবে সংসদ গঠন করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। ব্যাংকগুলো লুট করা হচ্ছে। মানুষ আরো গরিব হচ্ছে। তারা ঠিকমতো খেতে পারে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশী রায় দিয়ে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। দেশনায়ক তারেক রহমানকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। তেমনিভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের ক্ষমতার জন্য ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগ এতো নির্যাতন করেও বিএনপি দুর্বল করতে পারেনি। যার প্রমাণ বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণ। জনগণ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে এই সরকারকে তারা চায় না। সেই লক্ষ্যে আমরা যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই এই সরকারকে পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন ফয়সালা হবে রাজপথে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতনে বিএনপি দুর্বল হয়নি। এ সরকারকে সরানো ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ৭ ডিসেম্বর সমাবেশ পন্ড করতে সরকার পাগল হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে তারা মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সমাবেশ হয়েছে। সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠার রাজনীতি করে। তারা বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরেছে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিদেশিদের কাছে কে ধর্ণা দেন জানেন? আওয়ামী লীগ। তবে লাভ হবে না। আন্দোলন আরো কঠোর হবে। এ সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাড়ব।
সভাপতির বক্তব্যে আমান উল্লাহ আমান বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছে নেতাদের গ্রেফতার করে সমাবেশ বন্ধ করবে। সরকারকে বুঝতে হবে, বিএনপি ভেসে আসেনি। সমাবেশ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে নির্বাচন করবে, সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। হতে দেবে না। জীবন দিতে রাজি আছি। তবুও হাসিনার অধীনে নির্বাচন হতে দিব না। সরকার কোনো দায়বদ্ধতা নেই, কারণ তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ। এছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শিমুল, ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী খান লেলিন, ফোরকান ই আলমসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালে প্রতিবাদ সভা : বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, ১০টি বিভাগীয় শহরে বিএনপির গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখে সরকার ভীত হয়ে গেছে, তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে, যে কোনো সময় ফ্যাসিবাদী এই সরকারের পতন অনিবার্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং চলমান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল নগরীর সদররোডস্থ মহানগর ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুক। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদসহ অন্যান্যরা। একই সময় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেবুলসহ অন্যান্যরা।
সিলেট মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল : সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতার করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলা, গুলি করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মকবুল হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেও শাসকগোষ্ঠী হার মানিয়েছে। খুন,গুম, নির্যাতন, গ্রেফতারের পরও ঢাকায় লক্ষ লক্ষ গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছে। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দিকে মুক্তি না দিলে জনগণই নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করে নিয়ে আসবে। সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল তিন ঘটিকায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আম্বরখানা পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীর পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, অ্যাড. হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, বাবু সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, রোকসানা বেগম শাহনাজ, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, আহবায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দের মধ্যে আমির হোসেন, নিহার রঞ্জন দে, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, আফজাল উদ্দিন, শামিম মজুমদার, মতিউল বারী খুর্শেদ। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আহবায়ক আব্দুস সামাদ তোহেল, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জামান রোজি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলাম, মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, মহানগর তাঁতীদলের সভাপতি আব্দুল গাফফার, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল কয়েস। আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাজন ও নজির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাসের সাব্বিহ্, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি নিহার রঞ্জন দে, সাধারণ সম্পাদক মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম লিমন, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক রাজিব দে রাজু সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল আহমদ, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মিজান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এবি মজুমদার রনি, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ শফি সাহেদ, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীদ হোসেন সাবু, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক এ এস এম সায়েম, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক রাজু, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমদ, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রুবেল বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম, ১০নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাব্বির আহমদ, ১১নং ওয়ার্ডের সভাপতি শেখ মোঃ কবির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোঃ তায়েফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুর রহমান রাসেল, ১২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, ১৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আহমদ মন্জুরুল হাসান মন্জু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গিয়াস মিয়া, ১৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি তারেক আহমদ খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ লাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুমিন, ১৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি নাদির খান, সাধারণ সম্পাদক সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান সুমন, ২১নং ওয়ার্ডের সভাপতি খায়রুল ইসলাম খায়ের, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক সেকু, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেক আহমদ, ২৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি রাসেল আহমদ, ২৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রহিম আলী রাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ আহমদ, ২৫নং ওয়ার্ডের আহবায়ক রেজাউল ইসলাম রুজন, ২৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এম,এ,মান্নান, ২৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন খান প্রমুখ।