বিনা ভোটের সরকারের আমলে মানুষ তার বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়েছে : মিনু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
অসহনীয় দ্রব্যমূল্য, লাগাতার লোডশেডিং, দূর্নীতি-দু:শাসন. গুম, হত্যা, মামলা-হামলা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করেছে। বিএনপি জনগণের এই ন্যায্য দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন শুরু করেছে। এই আন্দোলনে বর্তমান বিনা ভোটের স্বৈরাচার সরকার ভীত হয়ে বিএনপির গণসমাবেশ করতে বাধা ও হামলা করে, বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রায় দশজনকে হত্যা করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকার গণসমাবেশ বন্ধ করতে পল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত ও একজনকে হত্যা করেছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নিজ বাড়ি থেকে রাতের অন্ধকারে গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে আটক দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। অবৈধ সরকারের এই কার্যকলাপ দেখে দাতা সংস্থা ও জাতিসংঘ উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি পার্ঠিয়েছে। সেই সাথে খারাপ মন্তব্যও করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি অনতি বিলম্বে ঢাকার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসচিবসহ সকল নেতৃবৃন্দের নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন। সেই সাথে আগামী ২৪ ডিসেম্বরের গণ বিক্ষোভে সময় মত উপস্থিত হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জন্ম মিথ্যার মধ্যে দিয়ে। সেজন্য তারা ভাল কিছু চোখে দেখেনা। দেখলে ও তা নিয়ে মিথ্যাচার করে। রাজশাহী সহ বাংলাদেশে বিভাগ পর্যায়ে বিএনপি’র কোন গণসমাবেশে লোক হয়নি বলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী. এমপি ও নেতৃবৃন্দ মিথ্যাচার করছে। যেখানে সারা বিশ্ব বলছে বিএনপি গণসমাবেশ সফল হয়েছে। সেই সাথে বতর্মান সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাব ও নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জনিয়েছে জাতিসংঘসহ অন্যান্য দাতা দেশগুলো।
তারা বলেন, এখনো সময় আছে। নির্যাতন বন্ধ করে তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে ক্শতা ছাড়ান। নইলে পরিনতি ভয়াবহ হবে বলে উল্লেখ করে বিএনপি সকল প্রকার আন্দোলনে নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়ালিউল হক রানা, আসলাম সরকার, দেলোয়ার হোসেন ও বজলুল হক মন্টু।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দে জামানী সুমন, বর্তমান আহ্বায়ক মীর তারেক খালেদ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন।
রাজশাহী মহানগর মহিলা দল রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুন নাহার ও জরিনা, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আরিফুল শেখ বনি, জাসাস রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্ত্তজা ফামিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।