মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ ও সদস্য সচিব আকতার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে সদর উপজেলার পাকা কাঞ্চনপুরের নিজ বাড়ি থেকে আলী আহমেদকে এবং এর আধা ঘণ্টা পর শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার নিজ বাসা থেকে আকতার হোসেনকে আটক করে সদর থানা-পুলিশ।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, আজ বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে দলের কর্মীদের ওপর চাপ তৈরি করতে তাঁদের আটক করেছে পুলিশ।
আলী আহমেদের স্ত্রী শামসুন্নাহার আজ মঙ্গলবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে ওমরাহ করে গত শনিবার আমরা (স্বামী-স্ত্রী) ঢাকায় ফিরি। গতকাল রাত ৯টার দিকে ঢাকা থেকে আমরা মাগুরা আসি। ক্লান্ত ছিলাম বলে রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক একটার দিকে পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট কোনো মামলার কথা তাঁরা বলেনি। পুলিশ বলেছে ওসি সাহেব তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমি তখন পুলিশকে বলি কথা বলতে চাইলে ফোন করলেই তো উনি যেতেন। এর জন্য শীতের এই রাতে কেন?’
আর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আকতার হোসেনের ছেলে ইকরামুল কবীর মুঠোফোনে বলেন, ‘রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পুলিশ আসে। তখন বাবা, মায়ের পাশাপাশি বাসায় আমার স্ত্রী, সন্তান ছিলেন। পুলিশ বাবাকে নিয়ে যাওয়ার সময় বলেছে, নাশকতার মামলায় তাঁকে আটক করা হচ্ছে। কোনো ওয়ারেন্ট বা সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কি না, জিজ্ঞেস করলে পুলিশ বলে, বেশি ঝামেলা করবেন না, তাহলে আমাদেরও ঝামেলা করতে হবে। এ সময় পুলিশ আমাদের বাসা তল্লাশি করে।’
বিএনপির এই দুই নেতাকে আটক করার কথা স্বীকার করেছেন মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তবে কী কারণে বা কোন মামলায় তাঁদের আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
সদর থানার একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলের কারণে তাঁদের আটক করা হয়েছে। তবে কোনো মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে, নাকি জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হবে, আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত সে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ কারণে কেউ মন্তব্য করতে পারছে না।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আজ আমাদের কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। এই কর্মসূচি সামনে রেখেই নেতাদের ধরপাকড় করা হচ্ছে যেন কর্মীরা কর্মসূচিতে আসতে ভয় পায়। ঢাকার কর্মসূচিতে পুলিশ যেমন হস্তক্ষেপ করেছে এখানেও তাই করছে। পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’