আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা, প্রিজন ভ্যানে বিএনপি কর্মীদের স্লোগান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ৮ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১৮ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও ভেতর থেকে আটক হওয়া কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মীকে একে একে আদালতে আনা হচ্ছে। এসময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রিজনভ্যানের ভেতরে দলীয় নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর থেকে একে একে প্রিজনভ্যানে করে নেতাকর্মীদের পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়।
সিএমএম আদালতে আসতেই প্রিজন ভ্যান থেকে নেতাকর্মীদের সমাবেশ সফল করতে নানা স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত রাজধানীর মুগদা, শাহ আলী থানা, যাত্রীবাড়ী, পল্টন থানার কর্মীদেরকে আনা হয়। তবে আটককৃত সিনিয়র নেতাদেরকে এখনো আনা হয়নি।
বিএনপির আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, সিনিয়র নেতাদের কখন আনবে তা আমরা জানি না। আমরা আইনীজীবীরা প্রস্তুত আছি।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে নয়াপল্টনে আশা যাওয়া বাড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের। সবশেষ গতকাল বুধবারও সকাল থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হন তারা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। অন্যদিকে বাড়ানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও। এক পর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মুহুর্তে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা নয়াপল্টন। একপর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা। আর কয়েকশ নেতাকর্মী ঢুকে পড়েন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। পরে পুলিশ কার্যালয় তল্লাশি করে ভেতরে থাকা সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি অন্য যারা ছিলেন সবাইকে আটক করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে তিনশোর মতো নেতাকর্মীকে তারা আটক করেছেন। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
অন্যদিকে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির কর্মী সমর্থকরাও আদালত চত্বরে জড়ো হয়েছেন।