বিএনপির কার্যালয়ে যেতে মির্জা ফখরুলকে পুলিশের বাধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৭ এএম, ৮ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নয়া পল্টনের অবরুদ্ধ সড়কের মোড়েই মির্জা ফখরুলকে আটকিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তার গাড়ি নাইটিঙ্গেল মোড়ে আসলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে আটিকয়ে দেয়।
এ সময়ে মহাসচিবের সাথে দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ছিলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের যুগ্ম কমিশনরা বিপ্লব সরকার জানান, ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি অফিসে কারো প্রবেশাধিকার নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরে উপস্থিত গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে বলেন, ‘‘আমি বিএনপির মহাসচিব। আমাকে আমার পার্টি অফিসে যেতে দেওয়া হলো না এবং তারা যে কথা গুলো বলছে এটা সর্বোব মিথ্যা। আমাদের ওখানে কোনো বিস্ফোরক ছিলো না। নাথিং ওয়াজ দেয়ার। তারা(পুলিশ) নিজেরা এসব করেছে আপনারা(গণমাধ্যম) তা দেখেছেন।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণভাবে চক্রান্ত ও পরিকল্পনার প্লট বলে বিএনপিকে ম্যালাইন করার জন্য, আমাদের ১০ তারিখের যে সমাবেশকে পুরোপুরি নতসাত করে দেয়ার জন্যে এটা সরকারের হীন পরিকল্পনা-চক্রান্ত। গণতন্ত্রকে ধবংস করার জন্য, মানুষের অধিকারকে ধবংস করবার জন্য আমার রাজনৈতিক অধিকারকে করবার জন্য, আমার রাজনৈতিক দল হিসেবে আমার নিজের অফিসে যেতে না পারি তাহলে কি করে একজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা কাজ করবে। একটা লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি তার সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে যে, সে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। এখন একজন মহাসচিব যে যদি তার অফিসেই যেতে না পারে তাহলে এটা সম্ভব না। এখানে গণতন্ত্র তো দূরের কথা, এখানে মানুষ একটা সভ্য সামাজিক মুক্ত বাস করছে না। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
‘অফিস খুলে দেয়ার দাবি’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘অবিলম্বে বিএনপি অফিসকে খুলে দেয়ার জন্য আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।যাদেরকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি এবং যে নিহত হয়েছে, শহীদ হয়েছে তার তদন্ত করে তাকে বিনা কারণে যে হত্যা করা হয়েছে সেটার প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
‘শনিবার সমাবেশ হবে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘১০ তারিখের সমাবেশ যেন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে তার জন্য আমি সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি। এর দায়-দায়িত্ব থাকবে সরকারে। এখন কোথায় হবে সমাবেশ জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেল, আবার জানাবো।
মির্জা ফখরুলে গাড়ি থেকে নেমে যুগ্ম কমিশনারকে বলেন, ‘‘আমি আমার পার্টি অফিসে যেতে চাই।”
এই সময়ে স্যার সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল বিকালে বেলা ও রাতে যেভাবে আমাদের পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরবর্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছি, যে পরিমান ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি এই মুহুর্তে আমাদের কাছে ঘটনাস্থল যেটিকে আমরা আইনের ভাষায় বলি প্ল্যাইস অব ওকারেন্স। সো এটা আমরা ক্রাইম সিন হিসেবে বিবেচনা করছি। ক্রাইস সিন হিসেবে আমাদের সিআইড, বোম ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা সেখানে কাজ করছে। সো এই মুহুর্তে কেউ সেখানে যেতে পারবে না।
মহাসচিব আবারো প্রশ্ন করে জানতে চান যে, আমি আবার অফিসে যেতে পারবো কিনা?
যুগ্ম কমিশনার বলেন, ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে কেউ এলাউড না। নো বডি এলাউড টু গো।”
‘আমি বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে আমার পার্টি অফিসে যেতে পারবো কিনা এটা আপনি বলুন?’ এরকম প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আমাদের ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নো বডি ইজ এলাউড টু এন্টার ইন টু দি পার্টি অফিস।”
পরে বিএনপি মহাসচিব গাড়িতে উঠে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল নয়া পল্টনে পুলিশের গুলিতে নিহত পল্লবী ৫ নং ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসে্বক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল হোসেনের মরহেদ দেখতে যান এবং তার পরিবারকে সাত্বানা দেন।
এ সময়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ছিলেন।