ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে পুলিশ ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ৬ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
পুলিশ ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি চলছে গ্রেফতার, গ্রেফতারের নামে পুলিশি তল্লাশি, আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পরিবারের লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ। এরা গণতন্ত্রকামী জনগণকে দাবিয়ে রাখার জন্য সরকারের রাষ্ট্রীয় দমনযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বিএনপির ওপর। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাঁচা অর্থ কায়ক্লেশে বেঁচে বর্তে থাকা।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে পুলিশের টানা হেঁচড়ায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ। বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশের কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এক পরিকল্পিত নীলনকশায় মেতেছে আওয়ামী সরকার। সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচল তৈরির পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের বহিঃপ্রকাশ। সবদেশে সবকালে সমাবেশ আহবানকারীরা সবসময় সেটিকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য শান্তি ও স্থিতির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সমাবেশ জনগণের কাছে বক্তব্য পৌঁছানোর একটি অন্যতম পদ্ধতি। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার এতটাই গণবিচ্ছিন্ন যে, অসংখ্য মানুষের শব্দে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রে দলমত, চিন্তা নির্বিশেষে সকলের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটি বিশ^াস করেন না, তিনি একদলীয় একমাত্রিক কর্তৃত্ববাদী নিষ্ঠুর শাসনকে রাজনৈতিক দর্শন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সেজন্য শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে মানবতার অস্তিত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে মিথ্যা প্রশাসনের বাড়াবাড়ি, গুজব রটানো, রঙ চড়িয়ে কথা বলা যেন সরকারেরই মানসিক বৈকল্যের বর্ধিত প্রকাশ। ঢাকার গণসমাবেশকে নিয়ে টালবাহানায় আবারও প্রমাণিত হলো-অগণতান্ত্রিক শক্তির দোসররা কখনোই গণতান্ত্রিক শক্তির মিত্র হতে পারে না। বিএনপির সাথে অবৈধ সরকার শত্রুতা করতে পারে, কিন্তু তাদেরকে মনে রাখতে হবে বিএনপির বন্ধুর সংখ্যা অসংখ্য। জনগণই বিএনপির সবচেয়ে বড় বন্ধু। এত ষড়যন্ত্র চক্রান্তের মাঝেও বিএনপি এখনও দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।
তিনি বলেন, বিএনপির গণসমাবেশকে নিয়ে সরকারের কপালে কেন এত দুশ্চিন্তার ভাঁজ? ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কেন এত বিচলিত হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র অভিলাষী নেতারা গণসমাবেশকে নিয়ে বানোয়াট গল্প প্রচারে নেমেছে। আর এই বানোয়াট গল্পকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন অতি উৎসাহী হয়ে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি চলছে গ্রেফতার, গ্রেফতারের নামে পুলিশি তল্লাশি, আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পরিবারের লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ। এরা গণতন্ত্রকামী জনগণকে দাবিয়ে রাখার জন্য সরকারের রাষ্ট্রীয় দমনযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বিএনপির ওপর। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাঁচা অর্থ কায়ক্লেশে বেঁচে বর্তে থাকা। পুলিশের কাছে এখন নিরপেক্ষতা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়, বরং দলীয় আনুগত্য গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এদের বিবেচনাশক্তি থাকলে বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেন না। আজকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চলছে বলেই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে দলীয় চেতনায় সংগঠিত করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না। দলীয়করণের রাজনীতি গণতান্ত্রিক রাজনীতি নয়। বিরোধী দল শত্রুদল নয়। বিএনপির রাজনীতি জনস্বার্থকেন্দ্রিক। জনসমাবেশে জনগণের পক্ষেই কথা বলা হবে।
ঢাকাসহ সারাদেশে গ্রেফতার ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ কয়েকজনের গাড়ি পুলিশ বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ কার্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ গাড়ি ফেরত না দিয়ে পুলিশ তাদেরকে হয়রানি করে। আমি এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবদলের ১ নং যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের মিরপুরের বাসায় ডিবি পুলিশ হানা দিয়ে আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুরসহ বাসার লোকজনের সাথে দুর্ব্যবহার করে। আমি এই ঘটনায় নিন্দা জানাই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ : ওয়ারী থানাধীন ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মুনির হোসেন, শ্রমিক দল নেতা মোঃ সেতু সূত্রাপুর থানা শ্রমিক দল নেতা মোঃ ইব্রাহিম, আলমগীর হোসেন, পল্টন থানা শ্রমিক দল নেতা আবু তাহের, জামাল ফরাজী, কলাবাগান থানা শ্রমিক দল নেতা রাসেল, ইসমাইল, শাহজাহানপুর থানা শ্রমিক দল নেতা মিন্টু, সাঈদ পাটোয়ারী রুবেল, নুরুল হক, যাত্রাবাড়ী থানা শ্রমিক দল নেতা আবু বক্কর, মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দল নেতা কাউসার গ্রেফতার। নিউমার্কেট থানাধীন ইউনিট বিএনপির সহ-সভাপতি সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডেমরা থানার ৬৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ডাঃ রফিক, বংশাল থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল করিম, জাহাঙ্গীর আলম দীপু; সূত্রাপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান ভূইয়া, মোঃ ফরিদ, কাজী মাহমুদুর রহমান রাকিব, কদমতলী থানার ৫৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস, গিয়াস উদ্দিন, বাবুল মিয়া, ঈমন, মোঃ জসিম, ৬৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম; ডেমরা থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আরিফ মোল্লা ও যুবদল নেতা খোকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর উত্তর : উত্তরা পূর্ব থানার যুবদল নেতা সিফাত ইসলাম দীপু সিকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পল্লবী থানা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ফারুক হোসেন তালুকদার; দক্ষিণখান থানার ৫০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ভাটারা থানার ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিকদল নেতা মোঃ রহিম; কাফরুল থানার ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিক, মিরপুর থানার ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন; রামপুরা থানার ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বাবুল, ৯৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন; উত্তরখান থানা ছাত্রদল নেতা বিপ্লব; ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম; উত্তরখান থানা বিএনপি নেতা হাসান খান, আফতাব উদ্দীন জুয়েল, সালাম মৃধা; শেরেবাংলা নগর থানা বিএনপি নেতা সবুর খানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিমানবন্দর থানা বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা জেলা : কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিন্টু, শ্রমিক দল নেতা নূর হোসেন, যুবদল নেতা লিটন হোসেনকে গতকাল পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা হাসমত উল্লাহ নবী, মোঃ খোরশেদ, হেলাল উদ্দিনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিন্টু, শ্রমিক দল নেতা নুর হোসেন, যুবদল নেতা লিটন হোসেন গ্রেফতার সাভার পৌর বিএনপি নেতা আক্কাস আলী, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, মোঃ হাসান, আরমান হোসেন, সাভার থানা বিএনপি নেতা মোঃ মোশারফ হোসেন, যুবদল নেতা কবির হোসেন, ছাত্রদল নেতা খোকন গ্রেফতার হয়েছে। ধামরাই থানা বিএনপি নেতা মোঃ মফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মোঃ রুস্তম আলী, মোঃ নুরুল ইসলাম গ্রেফতার। ধামরাই থানা ও পৌর বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মী যথাক্রমে মোঃ মফিকুল ইসলাম-সাংগঠনিক সম্পাদক, গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি, আনিসুর রহমান-সাবেক সাধারণ সম্পাদক, গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি, মোঃ রুস্তম আলী-সাধারণ সম্পাদক, সোমবাগ ইউনিয়ন বিএনপি, মোঃ নুরুল ইসলাম-সাংগঠনিক সম্পাদক, কুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি।
কৃষকদল : মুন্সিগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম পিন্টু, গজারিয়া উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাজেদ মেন্বার, সদস্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন, ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ ও সদস্য সচিব জহুরল ইসলাম জহির, ঢাকা মহানগর কৃষকদল নেতা মেরাজুল ইসলাম বাবুল, দানেস মিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মুগদা থানার ৭২ নং ওয়ার্ড কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুলকে গতকাল ০৫/১২/২০২২ রাত ১০ নিজ বাসা হতে এবং ঢাকা দক্ষিণ কদমতলী থানার কৃষকদল নেতা শহিদুল ইসলাম মৃধাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
নরসিংদী জেলা : বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম বাবু, মোঃ শাহজাহান গ্রেফতার। সাভার পৌরসভার বিএনপি নেতা আক্কাস আলী, সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন, সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান, যুবদল নেতা আরমান, সাভার থানা বিএনপি নেতা মোঃ মোশাররফ হোসেন, যুবদল নেতা কবির, ছাত্রদল নেতা খোকনকে পুলিশ আজ গ্রেফতার করেছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের বাসায় গতকাল ধানমন্ডি থানা পুলিশ অভিযান চালায়। আব্দুল হাইকে না পেয়ে তার ছেলেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মোঃ জহিরুল ইসলাম বাদশা, মোঃ শহীদুল ইসলাম কাড়াল, মোহাম্মদ আলী, অপু মৃধা, মোঃ রাকিবুল হাসান, শেখ মজিবর রহমান, জিয়া উদ্দিন খান ওরফে আবু জাফর, মোঃ আকাশ খান, স্বপন পাইক, মোঃ বাবুল, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ মতি ভূইয়া, মোঃ খলিল শেখ, শাহীন রানা গ্রেফতার এবং তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা : সোনারগাঁও থানাধীন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসান নাঈমকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়া শেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান ভুঁইয়ার বাড়ীসহ তার শ^শুর বাড়ীতে পুলিশ তল্লাশীর নামে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আরিফ এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ইমরান হোসেন বাবু, অরুন দেওয়ান, আসলাম, স্বপন গ্রেফতার।
বরগুনা জেলা: বরগুনা জেলা ছাত্রদল সভাপতি ফয়জুল মালেক সজিব এবং যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন গ্রেফতার। গাজীপুর জেলা: সদর থানা বিএনপি নেতা হেকমত আলী আকন্দ গ্রেফতার কাজি আরিফ সাবেক সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা ইমরান হোসেন বাবু, অরুন দেওয়ান, আসলাম, স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন : বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানকে বাড়িতে না পেয়ে তার ভাগ্নীর জামাই জাহাঙ্গীর হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সোনারগাঁও থানার যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা মোঃ মাহিন কবির, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফারুক ভূইয়া ও বাদল ভূইয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া বন্দর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খন্দকারকে বাড়ীতে না পেয়ে তার ভাই ওয়াদুদ খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাপ্পিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চূয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানা যুবদল নেতা টোকন ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, খিলগাঁও থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রওশন আলী, গাজীপুর সদর থানা মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হেকমত আলী এবং ফতুল্লাহ থানা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছলিম উল্লাহ হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁতীদল : মুগদা থানাধীন ৭২ নং ওয়ার্ড তাঁতীদলের সভাপতি মোঃ ফখরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কামরাঙ্গীচর থানা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম হোসেন এবং ৫৭ নং ওয়ার্ড তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোট গ্রেফতার ৩০ নভেম্বর রাত থেকে ৪ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত ১০৩১ (অন্ততপক্ষে) ৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকে আজ ৫ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত ২৮৪(অন্ততপক্ষে) গত ৩০ নভেম্বর রাত থেকে আজ ৫ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত (৫ দিনে) ১৩১৫ (অন্ততপক্ষে) ৫ ডিসেম্বর দুুপুর থেকে ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮৫সহ মোট ১৪০০। দেশব্যাপী গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।