গণসমাবেশ নস্যাৎ করতে সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ৬ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গণসমাবেশ নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
গতকাল সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অভিযোগ করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এবং সারাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি, নির্যাতনে দেশে একটা ভয়াবহ ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অবিলম্বে এই ধরনের বেআইনি গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, পুলিশি তল্লাশি বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে আরো বলা হয়, বিএনপির সংবিধান সম্মত ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে এই ধরনের নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক ও ভীতিকর করে তুলতে চাইছে সরকার। এই ধরনের গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্ববান জানানো হয়।
বৈঠকে ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনির্বাচিত সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে বেআইনী মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এবং সহ-সভাপতি নুর ইসলাম নয়নকে রাজশাহী থেকে ফেরার পথে আটক করে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত কর্তৃক ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করা হয়।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, সরকারের ইঙ্গিতে পরিবহন ধর্মঘট, পথে-পথে পুলিশি বাধা, গ্রেপ্তার মামলাকে উপেক্ষা করে লাখো মানুষ হেঁটে, ভ্যানে, অন্যান্য বাহনে সমাবেশে হাজির হওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে অনেক বেগবান করেছে।
‘ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী, একনায়কতান্ত্রিক অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, দেশে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান, গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করার আন্দোলনকে সফল করার লক্ষে রাজশাহীর গণসমাবেশ অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।