নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ গ্রেফতার, আক্রমণ করে কেউ গণসমাবেশ রুখতে পারবে না।’ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নেতা-কর্শীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে যুবদল এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু ও নুরুল ইসলাম নয়নকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা রাজশাহীতে গেল বক্তব্য রাখলো অথচ ঢাকায় ফেরার সময় প্রবেশ পথে গ্রেফতার করা হলো।’ গ্রেফতার করে গণজোয়ার ঠেকানো যাবে না জানিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘সূর্যের আলো হাত দিয়ে বলো রুখিতে পারে কি কেউ? টুকু-নয়নদের ধরে ঠেকানো যাবে না গণজোয়ারের ঢেউ।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘আপনারা গণগ্রেফতার করছেন, কেন করছেন? কি অন্যায় করেছে আমাদের নেতাকর্মীরা? কেন এই গ্রেফতার অভিযান? আপানারা যে বেতন পান, পরিবার যেটা দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, সন্তানরা যে স্কুলে যায়, সেই স্কুলের বেতন দেন সেটা সরকারি বেতনের টাকায়। সরকার বেতন দেয় কোথা থেকে, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত টাকায়? এটা জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। ওই জনগণের ট্যাক্সের মধ্যে বিএনপির সমর্থক, বিএনপির লোক, নেতাকর্মীদের ট্যাক্স আছে। তাহলে হাসিনার কথায় আপনারা অত্যাচার, জুলুম, গ্রেফতার করছেন কেন?’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ১০ ডিসেম্ব^র গণসমাবেশ করতে চেয়েছি। এই গণসমাবেশ কিসের জন্য? কিছু দাবির প্রেক্ষিতে। সমাবেশের জন্য আমরা পল্টনে অনুমতি চেয়েছি, কারণ নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আপনারা সে কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অন্যদিকে যুবলীগের কাউন্সিল সাফল্যমন্ডিত করার জন্য এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারা ঢাকা শহর সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। অথচ আমরা বাংলাদেশের বিরোধী দল আমরা কর্মসূচি করতে পারবো না। কর্মসূচির আগে সারা বাংলাদেশে গ্রেফতার অভিযান চলে। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। আমরা সেটা চলতে দিতে পারি না। ১০ ডিসেম্ব^র ঢাকায় শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হবে। এই গণসমাবেশ কেউ রুখতে পারবে না।
চট্টগ্রামে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘৪ ডিসেম্ব^র প্রধানমন্ত্রী অনেক অমার্জিত কথা বলেছেন, বলেছেন দুর্নীতিবাজ, খুনিদের দল বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী আপনার বয়স ৮০’র কাছাকাছি হয়ে গেছে, আল্লাহর কাছে আপনার জবাব দিতে হবে। জবাব দেয়ার জন্য কি আপনার কোনো প্রস্তুতি নেই। ছাত্রলীগের নেতা ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করে আপনি শোনেননি। বাংলাদেশের কোনো সংবাদ মাধ্যম কি আপনি পড়েন না? নাকি সারাদিন মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস করেন?’
আগামী দিনে সংগ্রামের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অনেক আক্রমণ হবে তারপরও সাহস করে দাঁড়াতে হবে।’ এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।