প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে গোটা জাতি লজ্জা পেয়েছে : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৭ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বক্তব্যে তিনি লজ্জা না পেলেও গোটা জাতি লজ্জা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার শেষ সময়ে এসে চরম মিথ্যাচারে লিফত হয়েছে। একদিকে চলছে গায়েবি এবং মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক, অন্যদিকে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের গোয়েবলসীয় মিথ্যাচারকেও হার মানিয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বক্তব্যে তিনি লজ্জা না পেলেও গোটা জাতি লজ্জা পেয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসতে চায়, বিএনপির আমলের দুর্নীতি ও খুনের রাজনীতে দেশ ফিরে যাবে না’। তিনি আরও বলেছেন ‘গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে’। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ২০১৪-এর বিনা ভোটের সরকার এবং ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের রাতে নিশিরাতের ভোট ইতিহাস সারাবিশে^ নজিরবিহীন এক ঘটনা। শেখ হাসিনার এহেন ভোট চুরির ঘটনায় সারাবিশ্বের মানুষ বিস্ময়ে হতবাক। এখন গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও বাংলাদেশে নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই, নেই কথা বলার অধিকার। বিচার বিভাগ এবং প্রশাসন চলছে এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিযোগিতা এখন সীমাহীন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কুইক রেন্টাল, পর্দা ও বালিশের নামে দুর্নীতির নতুন নতুন মহাকাব্যের কথা না হয় বাদই রাখলাম, ফরিদপুরের জেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের এক নেতার ২০০০ কোটি টাকা পাচারের কথা কি শেখ হাসিনা জানতেন না? এটা তো ছোট্ট একটি ঘটনা, এর চেয়েও অনেক বড় দুর্নীতির মহাযজ্ঞ চলছে শেখ হাসিনার আমলে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিএনপিকে নিয়ে খুনের কথা বলছেন, উনি তো চট্টগ্রামে একটা মারলে দশটা মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন ছাত্রলীগ-যুবলীগকে। এটা তো প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি। আজ ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন- বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। আমি কাদের সাহেবকে পরিষ্কার বলতে চাই-আপনারা গণবিচ্ছিন্ন, তাই মানুষের উপস্থিতি দেখলেই ভয় পান। সেজন্য মিথ্যার বুলি কপচিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার শেষ চেষ্টা করছেন। আওয়ামী নেতাদের মিথ্যা কথা চেঁচানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে অপপ্রচার করা ছাড়া আপনাদের গত্যন্তর নেই। বিএনপির সবগুলো সমাবেশে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি লাখ লাখ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দেখে আপনাদের অবৈধ মসনদ কেঁপে উঠেছে। এ মুহূর্তে দেশের মানুষের দাবি একটাই-এই সরকারের পদত্যাগ। জনসভা আয়োজনের নামে ভোট চাওয়া আওয়ামী লীগের যে কৌশল তা স্রেফ নাটক। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়নি। জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারে সেজন্যই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নানাবিধ সুবিধা দিয়েছিল এবং বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে মাঠশূন্য করা হয়েছিল। সুতরাং অবৈধ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার মিথ্যার বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে কেউ যাতে প্রতিবাদ না করতে পারে সেজন্য ‘গণতন্ত্রের মা’ আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, হামলা-মামলা-গ্রেফতার করে জনগণের আন্দোলনকে দমানো যাবে না। দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র ফেরাতে বিএনপিসহ গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছে তৃণমূল। কোুেনা বাধাই বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে পারবে না। ৪ ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর থেকে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের সংক্ষিফত চিত্র ঃ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ : গতকাল ৪ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের লিফলেট বিতরণকালে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা ব্যাপক হামলা চালিয়ে, মহানগর দঃ বিএনপি সদস্য সাব্বির আহমেদ আরিফ, সূত্রাপুর থানা : বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ, থানা ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক রকি, ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জনি, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের পিএস আরিফুল ইসলাম ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইসরাক হোসেন নিজেও আহত হন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। উপরন্তু সুত্রাপুর থানা ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক রকিসহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গুরুতর আহতদেরকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। সুত্রাপুর থানা ৪২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইস্রাফিল হোসেন বাবু, বংশাল থানা ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবেদুল ইসলাম জনি, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইউছুফ মিয়া, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা পারভেজ, মাসুদ চাঁন, ৩৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবদুল ওহাব, ৪৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ স্বপন, শ্যামপুর থানা ৫৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ রাসেল, শাহজাহানপুর থানা ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধাঃ সম্পাঃ মোঃ নুরুল আমিন, চকবাজার থানা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ ইলিয়াস রশিদ, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কোরবান খন্দকার , গেন্ডারিয়া থানা ৪৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ মামুন, মোঃ পিন্টু, মোঃ সেন্টু ও ৪৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাসুদ মোড়ল, লালবাগ থানা ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ সুমন, যাত্রাবাড়ি থানা ৬৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ কুতুব উদ্দিন, হাজারীবাগ থানা মৎস্যজীবী দল সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, ওয়ারী থানা শ্রমিক দল নেতা মনির হোসেন, ধানমন্ডি থানা ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নজরুল, নিউমার্কেট থানা ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক জনি, মহানগর পূর্ব ছাত্রদল যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসানসহ অন্তত ৬৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর : ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শ্রদ্ধাভাজন আকতার হোসেনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঢাকা মহানগর উঃ যুবদল সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের শ্যালক উত্তরা পূর্ব থানা যুবদল নেতা সিফাত ইসলাম দিপু শিকদার ও গাড়ি চালক সোহেলকে উত্তরা থেকে গাড়িসহ (গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ- ৩৯-০০-০৫) গতকাল রাত আনুমানিক ১১ টায় তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাদের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের ভারপ্রাফত সভাপতি তরিকুল ইসলাম রানা, দারুস সালাম থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিপু, আদাবর থানা শ্রমিক দল যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, বিএনপি নেতা সোহেল মিয়া, আলমগীর, থানা বিএনপি সাবেক সভাপতি কামাল সরকার, উত্তরা থানা শ্রমিক দল সদস্য আরিফ হোসেন, রামপুরা থানা শ্রমিক দল যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাক হোসেন বাবুল, ভাটারা থানা শ্রমিক দল যুগ্ম-আহ্বায়ক আহাদ হোসেন গ্রেফতার, বনানী থানা থানা বিএনপি নেতা মোঃ জহির, আশরাফ, জয়নাল আবদীন, ২০ ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হাজী মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ রুবেল মিয়া, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এস এম আনছার আলী, দারুস সালাম থানা কৃষকদল নেতা মোঃ আল আমিন, মৎস্যজীবী দল নেতা মোঃ আবদুর রহিম, রামপুরা থানা বিএনপি সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, থানা বিএনপি নেতা দেওয়ান নজরুল ইসলাম, গুলশান থানা বিএনপি নেতা হানিফ মিয়া, ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল আহবায়ক আসাদ, উত্তরা থানা বিএনপি সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন জুবেল, বিএনপি নেতা হাসান খান, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি নেতা মাহফুজ, ডাঃ ইব্রাহিম, সরকারী বাংলা কলেজ ছাত্রদল নেতা মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মোঃ পুর থানা ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ নাসিম, মোঃ ইমরানসহ কমপক্ষে ৭৬ জন গ্রেফতার। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল-ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান মুসাব্বির এর বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে বাসার সদস্যদের সাথে অশালীন আচরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলাঃ চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম,গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল হক,সদর পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাজেদুর আলম মেহেদী, সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতারুজ্জামানসহ কমপক্ষে ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া : উপজেলা চন্ডীপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মিয়া, পৌর ছাত্রদল নেতা মোঃ পলাশ, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামছু উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ সুলতান ফকির, এগারসিন্দুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ এরশাদ, হোসেন্দি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ কবির মিয়া, নিকলী উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ আলম মেম্বারসহ অন্তত ১৭ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা : জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি মোঃ মোতালেব হোসেন, জেলা যুবদল যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ পারভেজ, যুবদল কর্মী জসিম উদ্দিন আকাশ, জেলা শ্রমিকদল সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা : জাগীর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আবদুর রহমান পন্ডিত, শিবালয় উপজেলা: উলাইল ইউপি নেতা মফিজুর রহমান, উথলি ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন, ঘিওর উপজেলা : সিংজুরী ইউপি সভাপতি আবদুল কাদের, বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আবু বকর সিদ্দক, জেলা ছাত্রদল সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ রমজান আলী, সিংগাইর পৌর বিএনপি সাংগঠনিক স¤ক্সাদক আবদুল গফুর, বিএনপি কর্মী আবু সালাম ও আবদুস সামাদ, বালিয়াটী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মাসুদুর রহমান খান স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মোঃ রেজাউল করিম, সাটুরিয়া উপজেলা : বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, হরগজ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম, শ্রীভাস মন্ডল, আবুল কালাম ও মোঃ মোয়াজ্জেম, হরিরামপুর উপজেলা : বিএনপি নেতা ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল সদস্য আবদুর রব মোল্লা, বিএনপি কর্মী রোমান, আলম, জসিম, বয়রা ইউনিয়ন বিএনপি ভারপ্রাফত সভাপতি আজাহার উদ্দিন, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানসহ ৪৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
খুলনা মহানগর : ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক বাবুল রানা, যুবদল সভাপতি কামরুজ্জামান টুকু ও সাঃ সম্পাঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, সদস্য আল ইমরান জনি, মোঃ মিজান, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইউসুফ ও শুকুর, খানজাহান আলী থানা বিএনপি নেতা সোহাগসহ কমপক্ষে ২২ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা : জামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলমগীর হোসেনকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে, সনমান্দী ইউনিয়ন যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা মোঃ শাহীন কবিরসহ কমপক্ষে ৯ জনকে গ্রেফতার করে এবং উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা : জেলা যুবদল সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সিরাজদিখান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাপ্পী, জেলা যুবদল সম্পাদক খাদিমুল ইসলাম অপু, শ্রীনগর উপজেলা : স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মতি মাতব্বর, যুুবদল নেতা মজিবুর রহমান মেম্বার, আবু জাফর জিয়া এবং বাঘড়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অনিল দাসসহ কমপক্ষে ২১ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা : সদর পৌর ছাত্রদল সদস্য সচিব মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে।
গাজীপুর মহানগর : গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক পাপ্পু সরকারকে বাসায় না পেয়ে তার ভাতিজা মোঃ রুম্মানকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। নেত্রকোণা জেলা : গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় নেত্রকোণা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়, ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়েছে। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সন্ত্রাসীদের ধরে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
বাগেরহাট জেলা : সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সাগর সরদারের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। হবিগঞ্জ জেলা : জেলা ছাত্রদল নেতা রুমেল খান চৌধুরী গ্রেফতার। কুমিল্লা জেলা : বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেলেও তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করছে। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই গ্রেফতার করেছে। অবিলম্বে আবুল কালামের সন্ধান দাবি করছি এবং তাকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জোর আহবান জানাচ্ছি। এ পর্যন্ত প্রাফত তথ্য অনুযায়ী মোট গ্রেফতার ৩০ নভেম্বর রাত থেকে ৪ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত ১০৩১ (অন্ততপক্ষে) ৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকে ৫ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত ২৮৪ (অন্ততপক্ষে) গত ৩০ নভেম্বর রাত থেকে আজ ৫ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত (৫ দিনে) ১৩১৫ (অন্ততপক্ষে)
কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপির ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর ১২.১৫ ঘটিকায় উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। যা কুলিয়ারচর থানার মামলা নং ১ তারিখ ৩/১২/২০২২ ইং। ধারা ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৩-ক/৪ তৎসহ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪৩৬/৪০৭। মামলায় উপজেলার রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাফি উদ্দিন, বিএনপি নেতা আয়াত আলী, যুবদল নেতা সাজ্জাত হোসেন শামিমসহ ২০ নেতাকর্মীর নাম ও দলীয় পদবী উল্লেখ করে আরোও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এফ আই আরে উল্লেখ করা হয়, গত ২ ডিসেম্বর রাত ৯.১৫ ঘটিকায় উপজেলার রামদী ইউনিয়নের বরচরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বেআইনি জনতাবন্ধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ককটেল বোমায় সজ্জিত হয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিজ দখলে ও ককটেল বিস্ফোরণের কাজে সহায়তাসহ অফিস কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে ক্ষতি সাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ ও গুরুতর জখম করে স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করা। মামলায় আলামত হিসেবে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।