বিএনপির গুলশানস্থ কার্যালয় থেকে আটক ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানস্থ কার্যালয় এলাকা থেকে অফিসের একজন কম্পিউটার অপারেটর এবং বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের গাড়িচালক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের গাড়িচালককে আটক করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল (পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সেখান থেকে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের গাড়িচালকসহ থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের বিপরীতে গুলশান উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত একটি খাবারের দোকান থেকে বিএনপি অফিসের এক কর্মচারীকে আটক করে বলে জানা যায়। গত ১ ডিসেম্বর থেকে চলমান বিশেষ অভিযানে শুধু রাজধানী ঢাকাতেই পুলিশ ৪৭২ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আজ রোববার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালত এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে দন্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
ডিসি ফারুক আরও বলেন, সে নির্দেশনা মোতাবেক ডিএমপি পুলিশের ৫০টি থানা ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে রোববার বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৪৭২ জন আসামি। গ্রেফতারদের মধ্যে অনেকে পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এছাড়া মাদক, দন্ডপ্রাপ্ত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চোর, ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
তিনি জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। এসব মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের হাজির করা হবে আদালতে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, কেবল যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুসারে, দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও সব জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে বলা হয়। আদেশে বলা হয়, অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। পরিচালিত অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।