বাগেরহাটে ট্রিপল মার্ডারে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ৪ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩৮ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আজ রবিবার বেলা ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী দিহিদার, তার স্ত্রী মঞ্জু বেগম ও যুবলীগ নেতা শুকুর শেখ খুনের মামলায় ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ৪৪ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আহাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলো- স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকির, হুমায়ুন হাওলাদার, আবুয়াল ফকির, মোদাচ্ছের শেখ, সুনীল দাস, বিশ্বনাথ ওরফে বিশ্ব প্রামাণিক, মিল্টন খান, মফিজ খান, আবুল হোসেন শেখ, লিয়ন শিকদার, আলতাফ শিকদার, সুব্রত কুমার সাহা ওরফে পল্টু সাহা, মহি মোল্যা, মেহেদী হাসান ওরফে রুবেল ফকির এবং পল্টু সাহা পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর দুপুরে ওই উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শুকুর শেখকে ধরে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কলেজ মাঠে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকির ও তার সহযোগীরা। পরে তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসার আলী দিহিদার ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগম এবং বাবুল শেখকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা চালান। এ সময় ঘটনাস্থলেই আনসার আলী নিহত হন। পরবর্তী সময়ে মারা যান মঞ্জু বেগম। তবে বাবুল শেখ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যান। ওই ট্রিপল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ৫৮ জনকে আসামি করা হয়। শহিদুল ফকির ঘটনার দিনই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রেফতান হন। ওই সময় পুলিশ তার ব্যবহৃত শর্টগানসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জব্দ করে।
এদিকে এ ঘটনায় শুকুর শেখের ভাই ফারুক আহমেদ শেখ বাদী হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় একই বছরের ৪ অক্টোবর একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। পরে মামলায় ৫৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেন মোড়েলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুরদাস মন্ডল।
অ্যাডভোকেট আহাদুজ্জামান জানান, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরে মামলায় ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন আদালত। নির্ধারিত দিনে আদালত রবিবার এ রায় দেন।