ভোটারদের অনাগ্রহ সত্ত্বেও ইভিএমে ভোট কেন তা বোধগম্য নয়: সুজন সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৩৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের যে উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন নিয়েছে। ভোটারদের অনাগ্রহ সত্ত্বেও ইভিএমে ভোটের আয়োজন কেন তা বোধগম্য নয়। ইভিএমকে জালিয়াতি ও দুর্বল যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত বলেন, ইভিএমের কারণে ভোটাররা আরও ভোটবিমুখ হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
গতকাল শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে একটি সংগঠনের গুণী শিক্ষক সম্মানন অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশে এসে রংপুর নগরীর আরডিআরএস চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘ইভিএম একটা জালিয়াতি যন্ত্র, দুর্বল যন্ত্র। এই যন্ত্রের মাধ্যমে এসি রুমে থাকা স্যুট কোট পরিহিতরা নিজেদের মতো করে ফল তৈরি করতে পারে, নির্বাচন কমিশন যা খুশি তা করতে পারে। কারণ এটির মাধ্যমে ফল পুনরায় গণনা করা সম্ভব নয়, পেপারলেস যন্ত্রটি একটি বাণিজ্যিক যন্ত্র ছাড়া কিছু না। তাছাড়া ইভিএমে ভোটাররা ভোট দিতে চায় না, ইতিপূর্বে ইভিএম ব্যবহারের পরিসংখ্যান তাই বলছে। এই ইভিএম নিয়ে নির্বাচন করা একটি আত্মঘাতী ঘটনা।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে সুজন সম্পাদক আরোও বলেন, ‘ইসি আস্থা তৈরি করতে পারেনি, গাইবান্ধার নির্বাচন স্থগিত এবং তদন্তের ব্যবস্থা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তদন্তে রাঘব বোয়ালদের বাদ দিয়ে চুনোপুটিদের দোষী করে শাস্তির সুপারিশ করেছে। যা মানুষের আস্থা নষ্ট করেছে।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এই সরকারের আমলে দুটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, একটি একদলীয় ও অন্যটি জালিয়াতি নির্বাচন। আগামী নির্বাচন যদি ভালো না হয়, অংশগ্রহণমূলক কিংবা স্বচ্ছ না হয়, তাহলে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। তাই আমাদের জন্য হলেও, আগামীর প্রজন্মের জন্য হলেও সবাইকে সজাগ থেকে একটি নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজন করা।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ে রাজনীতিতে যা ঘটছে তা অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কেননা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিং-সভা করার অধিকার থাকা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা। কিন্তু বর্তমানে খেলার স্লোগান চলছে। আসলে এটাকে কোন খেলা বলি। তবে এই খেলার মধ্যদিয়ে রাজনীতিকে খেলাতে পরিণত করা হয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের পূর্বাভাস।’
পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সমাবেশের (নয়াপল্টনে) অনুমতি দিতে পারতো, কিন্তু অনুমতি দেয়নি। কেননা পুলিশ নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নয়, বরং পক্ষপাতদুষ্ট চরম দলীয়করণের শিকার হয়েছে।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুজন রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু ও সুজন রংপুর সমন্বয়কারী রাজেশ দে রাজু প্রমুখ।