১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশকে নিয়ে বেসামাল অবৈধ সরকার : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ১ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২৫ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশকে নিয়ে অবৈধ সরকার যেন বেসামাল হয়ে পড়েছে। শুরু করেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে পাইকারীহারে মামলা দায়ের, গভীর রাতে নেতাকর্মীদের বাড়িতে ডাকাতের মতো হানা দেয়া, পরিবারের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার চরম মাত্রায় শুরু করেছে আওয়ামী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মনে হয় পুলিশ শেখ হাসিনার কাছে শপথ গ্রহণ করেছে যেভাবেই হোক ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে হবে। ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মনে হয় শেখ হাসিনা জনআতঙ্কে ভুগছেন। তাই ঢাকায় গণসমাবেশের কথা শুনেই তিনি দিশেহারা হয়ে দমনের নিষ্ঠুর পথ অবলম্বন করেছেন। বাংলাদেশে আইনের উৎস হচ্ছে শেখ হাসিনার ইচ্ছা। প্রকৃত আইন, সুবিচার এবং গণতন্ত্রে বিরোধী দলের অধিকারের যবনিকা টানা হয়েছে। সরকারের নির্দেশে পুলিশ এই মুহূর্তে যা কিছুই করছে সেটি এক গভীর চক্রান্ত। আজ পুলিশ সদর দফতর থেকে ‘বিশেষ অভিযান পরিচালনা’ প্রসঙ্গে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা দুরভিসন্ধিমূলক। ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই আজ থেকে আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি সেন্টারে নিয়মিত তল্লাশি চালানোর কথা বলা হয়েছে। এটা দিবালোকের মতো সত্য যে, গণসমাবেশকে নিয়েই পুলিশের এই অশুভ তৎপরতা। নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং জনমনে ভীতি তৈরি করাই এর উদ্দেশ্য। পুলিশের মিথ্যা মামলা এবং মিথ্যা ককটেল বিস্ফোরণের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর গতকাল নারায়ণগঞ্জে মশাল মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ এবং মুন্সিগঞ্জে সিএনজিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই ঘটনা একের পর এক চক্রান্তের ধারাবাহিকতা। গোয়েন্দা সংস্থা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আগুন সন্ত্রাস মঞ্চস্থ করার যৌথ মহড়া। এই চক্রান্তগুলো শুরু হয়েছে ঢাকা জেলা আদালত থেকে দুই জঙ্গি পলায়নের নাটক থেকে। গত আন্দোলনের মতোই ঘটনা নিজেরা ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জনগণের কাছে অতীতের মতো এসব ঘটনাও বিশ্বাসযোগ্য হবে না। নাটক-ফাটক করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন রোধ করা যাবে না। কর্তৃত্ববাদী সরকার যারা গণতন্ত্রে বিশ^াস করে না, তারা টিকে থাকার স্বার্থে মনুষ্যত্বহীন যেকোন অপকর্ম করতে দ্বিধা করবে না। বিএনপির গণসমাবেশকে নানাভাবে বিতর্কিত ও প্রতিহত করার জন্যই দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি এবং আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা। পাইকারী হারে গ্রেফতার করার পরেও ফ্যাসিস্ট সরকার নিশ্চিত হতে পারছে না জনগণের বাঁধভাঙ্গা ঢল আটকাতে পারবে কি না।
তিনি বলেন, আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকারের উত্থান এই মুহূর্তেই প্রতিহত করতে হবে। মানুষের মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থেই অবৈধ আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। অবাধ-স্বচ্ছ নির্বাচন, প্রকৃত গণতন্ত্র, শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং সর্বোপরি ‘গণতন্ত্রের মাতা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গণতন্ত্রকামী মানুষের যে আন্দোলন তা দমানো যাবে না।
সারাদেশে হামলা-মামলা-গ্রেফতারের চিত্র
বগুড়া জেলা : গতকাল বগুড়া জেলাধীন নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা বিএনপির ৬৮ জন নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বগুড়া ফেরার পথে শাহবাগ থানা পুলিশ নেতাকর্মীদেরকে বহনকারী ভাড়া বাস থামিয়ে ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীকে শাহবাগ থানায় আটক রেখেছে।
রাজশাহী জেলার তানোর : উপজেলা বিএনপি নেতা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মফিজ উদ্দিন, পুঠিয়া : উপজেলা বিএনপি নেতা সহ-অধ্যাপক মুক্তা। বাঘা : পৌর বিএনপি সভাপতি কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপি নেতা মকলেছুর রহমান মুকুল, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম শফি, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদ। বাগমারা উপজেলা : বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু।
ফরিদপুর জেলা : ৩০ নভেম্বর বিকেল ৪টায় ফরিদপুর শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগ-যুবলীগের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালিয়ে ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করাসহ পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। উপরন্তু ফরিদপুর জেলা, মহানগরের বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাঃ সম্পাদকসহ ৩০ জনের নামে বিস্ফোরক আইনে সাজানো মামলা দায়ের করেছে। জেলা যুবদল নেতা রাজিব হোসেন ও রাকিব মিয়া, ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন সিজান ও তরিকুল ইসলাম জীবন (রিতু), শ্রমিক দল নেতা কামাল মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সহ-সভাপতি আলীমুজ্জামান সেলুকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে এবং বিএনপি নেতা কামাল তালুকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
নরসিংদী জেলা : জেলা বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক ফাইজুর রহমান, রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আবু নুর, সদর পৌর যুবদল আহ্বায়ক মাহমুদুল হোসেন চৌধুরী সুমন, মাধবদী থানা যুবদল আহবায়ক শহিদুজ্জামান অপু, রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজমুল হক ভুইয়া মোহন, মনোহরদী পৌর যুবদল আহবায়ক আবদুস সামাদ আকন্দ বকুল, যুবদল কর্মী মাসুদ তালুকদার, মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ কাজল মিয়াসহ ২৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে, গ্রেফতারের হুমকি দিচ্ছে। গতকাল জেলায় ৪টি মামলাসহ মোট ১৪টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা : সদর উপজেলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ ফরিদ, পৌর বিএনপি নেতা মোঃ বিল্লাল হোসেনসহ ১৭ জন গ্রেফতার, আসামি ৭০ জন। মেলান্দহ উপজেলা বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম রেনু, পৌর বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফাহাদুজ্জামান নবীনসহ ৫ জন গ্রেফতার। ইসলামপুর পৌর বিএনপি নেতা মোঃ রাজা কাউল, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মানিক চাঁদসহ ৩ জন গ্রেফতার, আসামি ২৪ জন। মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা ডাঃ মান্নান, জুয়েল, তুহিন গ্রেফতার ৩ জন, আসামী ৪০ জন। সরিষাবাড়ী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কমিশনার শামসুল হক, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মোঃ আবু মাসুমসহ ৭ জন গ্রেফতার, আসামী ৪২ জন। দেওয়ানগঞ্জ পৌর বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান সাজুসহ ৪ জন গ্রেফতার, আসামি ৪০ জন। বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতা মোঃ দেলোয়ার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমন বকশীসহ ৮ জন গ্রেফতার, আসামি ৪৫ জন।
মানিকগঞ্জ জেলা : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৫ জন, সাটুরিয়ায় ২৮ জন, শিবালয়ে ২০ জন, ঘিওরে ২৯ জন, গ্রেফতার করেছে ৩ জন, দৌলতপুরে ২২ জনের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার হয়েছে ৪ জন, হরিরামপুরে ১৭ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার ৪ জন এবং সিঙ্গাইরে ১৩ জনের নামে মামলা, ৩ জন গ্রেফতার। জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি মোঃ মোতালেব হোসেন ও জেলা শ্রমিক দল সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। শিবালয় : উপজেলার ইউনিয়ন যুবদল নেতা নাজমুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। সাটুরিয়া : ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
গাজীপুর জেলা : জেলা বিএনপি যুগ্ম-সম্পাদক খাইরুল আহসান মিন্টু, যুবদল নেতা হানিফ মিয়া, বিএনপি কর্মী তরিকুলকে গ্রেফতার করেছে। কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি সদস্য নুর-এ আলম (ইউপি সদস্য) সদর উপজেলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সহিদ হাজি ও আজাহার, ইউনিয়ন যুবদল নেতা সোলেমান, ইউনিয়ন বিএনপি সহ-সভাপতি ইব্রাহিম, মোঃ রফিককে গ্রেফেতার করেছে। কাশিমপুর : থানা যুবদল সভাপতি শাহীকে আজকে গ্রেফতার করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা : সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীঃ জেলা ছাত্রদল সহ-সাধারণ স¤ক্সাদক মহিবুল্লাহ খোকন, বারদী ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি জহিরুল খান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা গাজী রহমত উল্লাহ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতির ছেলে রহমত উল্লাহ, আড়াইহাজার পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, ছাত্রদল নেতা রতন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, রুপগঞ্জ থানা ছাত্রদল সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, চনপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জয়নাল ব্যাপারী, কাঞ্চনপুর পৌর যুগ্ম আহবায়ক আবদুল্লাহ মিয়া, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক পাভেল মিয়া, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মাশকুর, ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তুষার, সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেলকে গ্রেফতার করে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা : লৌহজং উপজেলা : মিথ্যা মামলা দিয়ে রাতে নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশি অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা অপু ও বিএনপি সমর্থিত ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে। গজারিয়া উপজেলা বিএনপির নামে মিছিল করে ককটেল ফাটিয়ো মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপি নেতা ফারুক মেম্বারকে গ্রেফতার করে।
টাংগাইল জেলা : দেলদুয়ার উপজেলায় ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে উপজেলা সভাপতি আবদুল আজিজ চাঁন এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম ফেরদৌসসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয় এবং উপজেলা সহ-সভাপতি বাদল মিয়া, সহ-সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনকে গ্রেফতার করে এক দিনের রিমান্ডে নেয়। ঢাকা মহানগর (দঃ) কলাবাগান থানা শ্রমিক দলের সভাপতি রাসেল হাওলাদার, ১৬ নং ওয়ার্ড যুবদল প্রচার সম্পাদক আবু সুফিয়ান সোহাগ, থানার যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন, বিএনপি কর্মী মোঃ রাসেল, থানা বিএনপি কর্মী টিটু, থানার সদস্য মর্তুজা মিঠুকে গ্রেফতার করে। ধানমন্ডি থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন হাওলাদার, ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতি মিন্টু, নুর আলম (আবদুল মান্নান সাহেবের বাসার কেয়ার টেকার), নিউমার্কেট থানা বিএনপি নেতা হারুন হাওলাদার, বাবু খান, খালেদ হাসান জাকিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। হাজারীবাগ থানা সহ-সভাপতি শাহিন, কোষাধ্যক্ষ মিলন ও সিটি কলেজ ইউনিটের সেক্রেটারী আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
ঢাকা মহানগর (উঃ) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য রেজাউর রহমান ফাহিম, সদস্য ও উত্তরা (পঃ) থানা নেতা হাফিজুর রহমান ছাগির, রুপনগর থানা কৃষক দল সদস্য সচিব জাবের হোসেন, সদস্য ওমর ফারুক, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খোকন মাতবর, ৯২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান, বিমান বন্দর থানার সাবেক সভাপতি জুলহাস মোল্লা, যুবদল নেতা রুবেল, আবু বক্কর সিদ্দিক, মনিরুজ্জামান, সাবেক নেতা মোঃ নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ খান থানা বিএনপি সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাগর, ৫০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আতাউর রহমান, ৫৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সোহেল রানা, ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা অলি উল্লাহ, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি যগ্ম সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হাসান, মোহাম্মদপুর থানা আন্তর্জাতিক সম্পাদক শিবলীকে গ্রেফতার করে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গতকাল পল্টনের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রাজ্জাকুর রহমান রাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেশব্যাপী গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।