চেক ডিজঅনার মামলা : হাইকোর্টের রায় আপিলে স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৯ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না মর্মে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এখন লিভ টু আপিল আবেদন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মহোম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। গত ২৮ নভেম্বর কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না মর্মে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেলেন চেম্বার জজ আদালত। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৩ নভেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে এখন থেকে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করতে পারবে না মর্মে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, এক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ের জন্য শুধু ২০০৩ সালের অর্থঋণ আইনের বর্ণিত উপায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করতে পারবে। বর্তমানে আদালতে চলমান ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করা সব চেক ডিজঅনার মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী সাইফুজ্জামান তুহিন। ঋণ আদায়ের জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলা বাতিল করে গত ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এ রায় দেন। ওইদিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি হাইকোর্টের রায়ের আলোকে নির্দেশনা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়াও সব প্রকার ঋণের বিপরীতে ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সেলিমগঞ্জের বরাইল মধ্যপাড়ার ক্ষুদ্রব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ব্র্যাক ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ৩৬ কিস্তির মধ্যে ২২ কিস্তি দেন। কিন্তু পরবর্তীসময়ে কিস্তি জমা দিতে না পেরে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকার চেক দেন। কিন্তু এ চেক ডিজঅনার হওয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মামলা করে। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুন মোহাম্মদ আলীকে বিচারিক আদালত ছয় মাসের সাজা ও দুই লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ টাকা জরিমানা করেন।