গণসমাবেশ উপলক্ষে মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানীর প্রতিবাদে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আর মাত্র দুইদিন বাকী। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশকে ঘিরে সরকার নানা টালবাহানা শুরু করেছে। এই সমাবেশ উপলক্ষে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি হয়রানী, মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঐ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহীতে গণসমাবেশ হোক এইা সরকার তা চায়না। কারণ রাজশাহী বিএনপির ঘাটি। অন্যান্য জেলায় শত বাধা সত্ত্বেও সমাবেশস্থলে লোকে লোকারণ্য হয়ে গিয়েছিলো। তা দেখে সরকার ভয় পেয়ে রাজশাহীর সমাবেশ বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মাঠের অনুমতি নিয়েও আইন শৃংখলাবাহিনী নানাভাবে কালক্ষেপন করে, অনেক র্শত আরোপ করে আংশিক অনুমতি দিয়েছে। অথচ তিনি স্বাক্ষর করে দুইমাস পুর্বে অনুমতি পত্র সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপওেক্ষর নিকট দিলেও তারা অনুমতি দেয়নি।
অথচ স্মরণকালের সব থেকে বড় সমাবেশ হবে এটা । সমাবেশস্থলে ব্যানার, ফেস্টুন টানানোর বাঁশগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও পাশের মাঠে থাকার জন্য তাবু টানাতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়ে তা উচ্ছেদ করে দেয়। এখনো পুরোমাঠে পুলিশ টহল দিচ্ছে। শুধু তাইনয় সমাবেশে যেন লোক না আসেত পারে তারজন্য সকল প্রকার যানরবাহন বন্ধ করে দিয়েছে তারা। সেইসাথে বিনা কারনে, বিনা ওয়ারেন্টে শুধু হয়রানী নয় সমাবেশে যেন লোক সমাগম কম হয় সে জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ রাতের অন্ধকারে হয়রানী এবং আটক করছে।
অসহনীয় দ্রব্যমূল্য, লাগাতার লোডশেডিং, দূর্নীতি-দুঃশাসন, গুম, হত্যা, মামলা-হামলা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এই সমাবেশ বিএনপি শান্তিপূর্নভাবে সমাবেশ করতে চান। এরজন্য আইন শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেল সহেযাগিতা কামনা করেন তিনি। সেইসাথে মাঠে কাজ করতে আর যেন কোন প্রকার বাধা প্রদান না করা হয় তার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান মিনু।
তিনি আরো বলেন, এই গণসমাবেশ বানচাল করতে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে আইন শৃংখলা বাহিনীকে দিয়ে রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য জেলার ন্যায় রাজশাহী মহানগর, জেলার বিভিন্ন থানা সমুহে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে এবং অজ্ঞাত আরো শত শত নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। প্রতিদিন মামলা বাড়তেই আছে। সেইসাথে গ্রেফতারের জন্য জোরতাল অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। এমন হীন রাজনীতি ও পুলিশের একমুখো আচরণের তীব্রনিন্দা ও গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের আগামীকালকের মধ্যে খালাস দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সম্মেলনের রাজশাহী জেলা ও মহানগরের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহিন শওকত ও ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জেলার সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগরের সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, জয়নাল আবেদি শিবলী, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, তোফায়েল হোসেন রাজু ও মিজানুর রহমান মিজানসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।