আড়াইহাজারে পরীক্ষার হল থেকে ছাত্রীকে নিয়ে গেলো ছাত্রলীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ২৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৩৬ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পরীক্ষার হল থেকে এক ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন উপজেলার সফর আলী ভূঁইয়া কলেজের এজিএস। হল থেকে নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম আরিফা আক্তার (১৯)। সে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার রোকন উদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রী কলেজে এ ঘটনা ঘটে। আরিফা এই হলে পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষা শুরুর আগেই ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল তাকে নিয়ে চলে যান। আরিফা উপজেলার হাইজাদি ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন ও ফিরোজা বেগমের মেয়ে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ছোট বোনকে নিয়ে আরিফা পরীক্ষা দিতে হলে আসে। তার ছোট বোনও তার সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন হলে প্রবেশ করেন এবং কথা আছে বলে আরিফাকে হল থেকে ডেকে নেন। পরে তারা সবার সামনে হল ছেড়ে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ হলে ছুটে আসেন।
রোকন উদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান বলেন, কেউ হল থেকে বেরিয়ে গেছে বা নিয়ে যাওয়া হয়েছে এমনটা তিনি জানেন না। তবে আজ একজন ছাত্রী পরীক্ষা অনুপস্থিত ছিলেন।
আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শরীফ বলেন, ইকবালের সঙ্গে আরিফার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত কয়েকমাস আগে ইকবালের সঙ্গে আরিফার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমরা ক’জন তার বাড়ি গিয়েছিলাম। ওই সময় আরিফার মা জানিয়েছিল যে, তার বাবা আনোয়ার হোসেন মালয়েশিয়া আছেন, ৪ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। এরপর তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন। কিন্তু এর আগেই আরিফার মা অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করায় তারা স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে চলে গেছেন।
আড়াইহাজার থানার এসআই সুশান্ত বলেন, খবর পেয়ে আমরা রোকন উদ্দিন মোল্লা কলেজে যাই। সেখানে মেয়েটির মাও আসেন। এরকিছু সময় পরেই, মেয়েটি তার মাকে ফোন করে। ফোন করে সে জানায়, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে স্বেচ্ছায় ইকবালের সঙ্গে চলে গেছে। তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে।
এসআই সুশান্ত আরও জানান, মেয়েটির মা নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে মেয়ের বয়স ১৯। তাই সে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অধিকার রাখে।
মেয়েটির মা ফিরোজা বেগম বলেন, মেয়েকে আমি ফোনে অনুরোধ করেছিলাম যেন ফিরে এসে পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু মেয়ে সেটি শুনেনি।