না’গঞ্জে আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ ও ভাংচুরে সম্মেলন পন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ২৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউপি আ’লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের প্রার্থী-সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নেতাকর্মীরা এসময় সম্মেলনের চেয়ার ভাংচুর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়।
গতকাল শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বক্তাবলীর রাজাপুর আজিজ মার্কেটে আয়োজিত সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের শুরুতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা তাদের নাম প্রস্তাব করেন। পরে ভোটাভুটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবেই ভোট গ্রহণ চলে।
একপর্যায়ে সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদের সমর্থক দিল মোহাম্মদ দিলুন, মহিউদ্দিনসহ আরও কয়েকজন অপর প্রার্থী আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকদের উদ্দেশে খারাপ মন্তব্য করলে দুই পক্ষের মধ্যে হৈ চৈ শুরু হয়। একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী মাইকে সবাইকে নিরব থাকার জন্য বললেও শফিক মাহমুদের সমর্থকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এসময় শওকত আলী দিলুনের বেশি বাড়াবাড়ি দেখতে পেয়ে তাকে সাবধান হওয়ার জন্য বলতেই শুরু হয় উত্তেজনা। দুই পক্ষের মধ্যে চলে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি। পরে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা ছোটাছুটি করে স্থান ত্যাগ করেন। এ অবস্থায় ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল।
সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদ বলেন, আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকরা কাউন্সিলরদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলে আমার লোকজন বাধা দেয়। এতে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরে শওকত চেয়ারম্যান সাহেব উস্কানিমূলক কথা বলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়িয়ে দেন।
অপর সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেন প্রধান বলেন, শফিক মাহমুদের নিশ্চিত পরাজয় ভেবে তারই সমর্থক দিলুনসহ আরও কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দলের সিনিয়র নেতাদের সামনে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে দলের লোকদের উত্তেজিত করে সম্মেলন পন্ড করে দেয়।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী বলেন, সম্মেলন শুরু হতেই শফিক মাহমুদসহ তার লোকজন দলের সিনিয়র নেতাদের সামনেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। যারা সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে শফিক মাহমুদ, দিল মোহাম্মদ দিলুন, মহিউদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিশৃঙ্খলা করে সম্মেলন প- করে দেয়।