না’গঞ্জে পুলিশের গায়েবী মামলায় এবার জাপানে থাকা ছাত্রদল নেতা আসামি!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ২৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে দায়ের করা পুলিশের গায়েবী মামলায় এবার প্রবাসী ছাত্রদল নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
গত সোমবার (২১ নভেম্বর) রাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে এই গায়েবী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার ৩৩ নম্বর আসামি ইসহাক ইসলাম ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। তিনি ৭ মাস আগে উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে যান। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির খান, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, সদর থানা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক লিংরাজ খান, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আতা-ই রাব্বি, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দোলনসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
প্রবাসী ছাত্রদল নেতা ইসহাক ইসলামের মামা জুয়েল আরমান বলেন, আমার ভাগ্নে গত ৭ মাস ধরে জাপানে লেখাপড়া করছে। সে তো দলীয় পদ পাবার পর বেশিদিন দেশেও ছিল না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই মামলা পুরোটাই গায়েবি মামলা। যে ঘটনা ঘটেনি, সেই ঘটনা সাজিয়ে পুলিশ মামলা দিয়েছে। যে দেশেই নেই তাকে দেখানো হয়েছে ঘটনাস্থলে নাশকতা করতে।
গায়েবী মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২০ নভেম্বর দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতপাড়ার সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের হাজিরার সময়ে তার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমবেত হন। সেখানে তারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, যানবাহন ও রাষ্ট্রায়ত্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংগঠনের উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, রড, ককটেল, ইটপাটকেল নিয়ে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময়ে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে ইট দিয়ে আঘাত করেন। মামলায় আলামত হিসেবে চারটি বিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার, বাঁশের ২০টি লাঠি, ১০টি রড, টায়ার ও ভাঙা গ্লাস উদ্ধার করা হয়।
ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল বলেন, এটি যে গায়েবি মামলা তা সবাই জানেন। পুলিশ মিথ্যা মামলা সাজাতে গিয়ে কিছু ভুল করে, এটা সেই ভুল। এই মামলা দেওয়া হয়েছে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশে বাধা দিতে ও নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাতে। ইসহাক ৭ মাস ধরে দেশে নেই। সে মার্চের ২১ তারিখ থেকে দেশে নেই বলে তার পরিবার জানিয়েছে অথচ তাকেও দেখানো হয়েছে নাশকতাকারী হিসেবে।
প্রবাসী ছাত্রদল নেতাকে দেশে সংঘটিত নাশকতার মামলায় আসামি করার ব্যাপারে থানা পুলিশের কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।