রাজশাহী বিভাগীয় মহসমাবেশ ঠেকাতে বগুড়ায় বিএনপির ৩ হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৫৬ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, দেশব্যাপী বিএনপির গণসমাবেশে গণজাগরণ দেখে অবৈধ সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আগামী ৩রা ডিসেম্বর রাজশাহীর গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। এ পর্যন্ত শেরপুর, শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম, কাহালু, দুঁপচাচিয়া, বগুড়া
সদর ৬ টি উপজেলায় গায়েবী মামলা দিয়ে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব মামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বগুড়া
বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। সরকার যতই মামলা হামলা কিংবা গ্রেফতার নির্যাতন নীপিড়ন চালাক রাজশাহীর মহাসমাবেশে গণজোয়ার ঠেকাতে পারবে না।
আজ সোমবার বিকেলে রেজাউল করিম বাদশা তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ এবং মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবীতে বক্তব্য রাখেন। শহরের নবাববাড়ীস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, শহীদ উন নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আহসানুল তৈয়ব জাকির, এ কে এম তৌহিদুল আলম মামুন, মনিরুজ্জামান মনি, খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বিএনপি নেতা বাদশা আরো বলেন, জেলায় শান্তিপুর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকার পরেও অবৈধ সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে পরিবেশকে অশান্ত করেছে। আমরা সরকারের এই মনোবৃত্তিকে নিন্দা জানাই। এ অপ ও কুট কৌশল থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ করছি। চলমান ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনের এটি প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে সহানুভূতি দেখানোর জন্য আহবান জানাচ্ছি। ইতিমধ্যেই যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো ছাত্রদল নেতা মোঃ আল রাজিব, মেহেরাজুল ইসলাম বিস্তার, বাধন শানজি, রুবেল ইসলাম, শাজাহানপুর উপজেলা যুবদল নেতা রেজাউল করিম রেজা, আনুল্লাহ বিন ছোটন, আইয়ুব আলী, হুমায়ন কবীর, কাহালু উপজেলা বিএনপি নেতা রতন সরকার, আবু তাহের মন্টু, ইলিয়াছ আলী, নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবদল নেতা মহর আলী, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আতিক, শেরপুর উপজেলা কৃষক দল নেতা কাজী রোকনুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রবিউল ইসলাম টিটু, বিএনপি নেতা জহুরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে জানাতে চাই, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানী, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার না করে দেশ ও মানুষ বাঁচাও চলমান আন্দোলনের প্রতি আপনাদের সহযোহিতা কামনা করছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, গুম খুন হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে আছে বিএনপি।
আগামী ৩ রা ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে যখন বগুড়া জেলা বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত, ঠিক তখনই সরকার হীন অপকৌশল করে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার করে গণ সমাবেশকে বানচাল করার অপচেষ্টা করছে । বিএনপি ও সাধারণ জনগণের মনোবল এতাটাই অটুট মনোবল যে এসব হামলা মামলা গ্রেফতার ও ভয় ভীতি দেখিয়ে অন্যান্য বিভাগের গণসমাবেশ যেমন বানচাল করতে পারে নি তেমনি রাজশাহীর গণ সমাবেশও বানচাল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।