হুমকির মুখে সার্বভৌমত্বব ও স্বাধীনতা : কবি আব্দুল হাই

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই সিকদার বলেন, রাজনীতি আর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত করছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন, দুঃশাসনে দেশ আজ ধ্বংসের সর্বশেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারও নব্য বাকশালী শাসনের নিষ্পেষণে সারাজাতিকে বন্দি করা হয়েছে। এই দুঃসময়ে তারেক রহমানের নিঃশংক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে। আমি তাঁর আশু সুস্থতা, সাফল্য, সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।

আজ রবিবার বিকালে শহীদ টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে তার বর্নাঢ্য কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কবি আব্দুল হাই বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘজীবন ও তার সঠিক নেতৃত্বের দিকে গোটা বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। আমরা যেটা উপলব্ধি করেছি যে বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু রাজনীতিতে পরিণত করা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা, গণতন্ত্রকে ধবংস করে দেয়ার যে হীন চক্রান্ত, সেই চক্রান্ত থেকে মুক্তি পাওয়ার আমাদের জনগণের মধ্যে যে একটা আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের সাতটি বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে মানুষের যে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, যে আবেগ, মানুষের কষ্ট করে সামনে এগিয়ে আসা, মানুষের যে প্রাণ দেয়া- এই ঘটনাগুলো থেকে বুঝা যায় যে, এই নেতা (তারেক রহমান) আমাদের জন্য কতটা অপরিহার্য।

কবি আব্দুল হাই আরো বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্র, ইসলামী মূল্যবোধ ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র এবং মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অগ্রনায়ক, মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামের নেতা, কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন, বাংলাদেশের তৃণমূল রাজনীতির ধারক বাহক ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাণপুররুষ, বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের আজ জন্মদিন। রাজনীতিতে এসেই তারেক রহমান বুঝতে পারেন দেশের উন্নয়ন চাইলে গ্রাম-গঞ্জের উন্নয়ন করতে হবে। তাই তিনি পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে গ্রাম-গঞ্জের পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি গ্রামাঞ্চলের কৃষক-মজুর-খেটে খাওয়া গরীব-দুঃখী মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারেক রহমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন নির্মাণ করতে তৃণমূল ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এসব সম্মেলনে কর্মীরা দলীয় রাজনীতি ও সংগঠন সম্পর্কে মন খুলে কথা বলেছেন। সভাগুলোতে তারেক রহমান মূলত দলের গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ মতবিনিময় করেন। দেশনায়ক তারেক রহমান এমনই একজন নেতা, যাঁর রয়েছে বহুমুখি প্রতিভা। বিএনপিসহ সাধারণ জনগণের কাছে তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। জনগণকে আপন করে কাছে টেনে নেয়ার জাদুকরী ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব, সম্মোহনী ব্যবহার আর এসব গুণাবলীই তাঁকে বিস্ময়কর জনপ্রিয়তার অধিকারী করে তোলে। তারেক রহমান দেশ, মা, মাটি ও মানুষের সন্তান। তাইতো মা, মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করেই তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় শুরু থেকে। পিতার পথ ধরেই শহরকেন্দ্রিক রাজনীতিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেন হাটে-মাঠে-ঘাটে। তৃণমূল রাজনীতির প্রাণপুরুষ হয়ে ওঠেন তারেক রহমান। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের হাতে হাত রেখে, তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে ঠাঁই করে নেন তাদের মনের মণিকোঠায়। তিনি দেশের উৎপাদন-উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বাপ্নিক। তৃণমূলে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য তাঁর হাঁস-মুরগী-ছাগল বিতরণ ও প্রতিবন্ধী মানুষদের কম্পিউটার বিতরণ, জটিল রোগে আক্রান্ত অসহায় মানুষের চিকিৎসার উদ্যোগ ছিল তার যুগান্তকারী উদ্যোগ-যা আজও দেশবাসী ভুলে যায়নি।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র মোঃ রেজাউল করিম বাদশা সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, জিয়া পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ড. মোঃ হাসনাত আলী, আমিনুর রহমান কাগজী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার ও জাহিদুল ইসলাম। এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে বগুড়া অ্যাজমা কেয়ার সেন্টারে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, সকাল ১০ টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের হাঁস-মুরগী বিতরণ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম বাদশা এবং বাদ যোহর রায়তুর রহমান সেন্টার মসজিদে দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র মোঃ রেজাউল করিম বাদশা, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ভিপি সাইফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, ডাক্তার মামুনুর রশিদ মিঠু, এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার ও জাহিদুল ইসলাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, মনিরুজ্জামান মনি, ড্যাব বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ শাহ মোঃ শাহজাহান আলী, ডাঃ আফজারুল হাবীব রোজ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, ড্যাব বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ইউনুছ আলী, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাস্ত সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার প্রমুখ।