স্লোগানে-স্লোগানে মুখর বিএনপির সমাবেশস্থল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৫ এএম, ১৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২৪ এএম, ৩০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ শনিবার। ইতোমধ্যে সমাবেশে যোগ দিতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ছুটে এসেছেন। কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থল। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এখনও আসছেন নেতা-কর্মীরা।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। স্লোগানে-স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখরিত করে রেখেছেন তারা। মাঠে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পও রয়েছে।
গত রাতেই মঞ্চ প্রস্তুতকরণের কাজ শেষ হয়। ইতোমধ্যে মঞ্চে বসানো হয়েছে চেয়ার। গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘট চলার পরও লোকজন পায়ে হেঁটে, নৌকায় ও বিভিন্ন বিকল্প পথে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার থেকে সিলেটে প্রবেশের সময় বিভিন্ন পয়েন্টে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার কিছু অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সারাদেশের মতো একই কায়দায় সিলেটেও ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এ সরকার মানুষের সরকার নয়। তারা যখনই খবর পায় কোনো জায়গায় লোক জড়ো হচ্ছে বা সমাবেশ হচ্ছে, তখনই তারা নানাভাবে তা প্রতিহত করে।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন বলেন, ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির মহাসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। পাঁচ দফা দাবিতে বিশেষ করে টমটম চলাচল বন্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেগুলো অবাধে চলছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়ক নিরাপদ করতে যৌক্তিক দাবিতে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ৪ লক্ষাধিক মানুষের সমাগমের লক্ষ্য ছিলো। বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকালই বিপুল পরিমাণ মানুষ শহরে এসেছেন। ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে লোক সমাগম বাড়ছে। আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সময় ছিল দুপুর সাড়ে ১২টা, আমরা সেটা এগিয়ে সকাল ১১টায় এনেছি।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে বিভাগে গণসমাবেশ করা হয়েছে। সামনে আরও তিনটি গণসমাবেশ ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে।