তারেক রহমানের নেতৃত্বেই হবে নতুন বিপ্লব : ব্যারিস্টার মীর হেলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩১ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই বিএনপির উদ্যোগে উদযাপিত হয় মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস। দুবাই বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের ইতিহাসের সমস্তটাই রক্তপাতের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সব ক্ষেত্রেই স্বাধীন চেতা মানুষের রক্ত ঝরেছে।
তিনি বলেন, ৭১ সালে আওয়ামিলীগ সরকার গঠন করার পর ৭৪ এ বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ এসে যায়। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ কে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলেছেন, কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আজ বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা আগের মত। আওয়ামী সরকার গত বেশ কয়েক বছর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখে গণতন্ত্র হরণ করে কেড়ে নিয়েছে মানুষের মানবাধিকার, সব সেক্টর ই আজ ধ্বংসের দারপ্রান্তে, আবারো দুর্ভিক্ষের দিখে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কে। বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বক্তব্যে যা স্পষ্ট। তাই আরেকটা বিপ্লব এই মুহুর্তে খুবই প্রয়োজন যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আগে সমাবেশ হত ৩/৪ ঘণ্টার। তবে তারেক রহমান সমাবেশের সংজ্ঞা পালটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে বর্তমানে সমাবেশ গুলা ৩/৪ দিন পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে, ভেলা বা নৌকা, রিকশায় চড়ে পায়ে হেঁটে আজকাল মানুষ সমাবেশে আসছে যা একমাত্র তারেক রহমানের দক্ষ নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট বিভাগের সমাবেশ যেমন মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে আগামীর সমাবেশ গুলা ও যেন মানব সুনামি তে পরিনত হয় সেই লক্ষে কাজ করতে হবে।
মুজিবুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় উদ্ভোদনি বক্তব্য রাখেন, আজিম উদ্দিন তালুকদার, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত হয়ে আবুধাবি বিএনপির সভাপতি ইসমাইল হোসেন তালুকদার বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক ও বেসামরিক তথা সাধারণ জনতা মিলে একসাথে আন্দোলন এটাই একমাত্র বাংলাদেশেই সংগঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকেও মইনুদ্দিন ফকরুদ্দিন সেই প্রেতাত্মারা আবারো বাংলাদেশকে গিলে খাচ্ছে। তাই দেশনেত্রীর সেই দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও স্লোগানকে সামনে রেখে আরেকটা বিপ্লব ঘটাতে হবে।
রফিকুল আলম বলেন, দেশ আজকে খুবই সংকট ময় মুহুর্তে আছে। তাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকল সাধারণ মানুষকে নিয়ে আবারো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে এবং চলমান বিভাগীয় সমাবেশ গুলোকে সফল করার জন্য কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, নাছির হিজাদি, আজিজুল ইসলাম কিরণ, জামাল কন্ট্রাক্টর, নাছির উদ্দিন, নীল রতন দাস, সেলিমুর রহমান, হুমায়ুন কবির সুমন, লোকমান, জসিম উদ্দিন সহ কেন্দ্রীয় ও ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দ। পরে দলিয় সংগিতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।