মুক্তাগাছা বিএনপির সম্মেলন মঞ্চ ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, ৩ নেতাকে মারধর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৮ এএম, ১৪ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫০ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ১নং দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন মঞ্চ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিএনপির ৩ নেতাকে বেধরক মারধর করে আহত করারও অভিযোগ উঠেছে। আহতরা হলেন-দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হায়দার রেজা আনাম (৫৭), বর্তমান সভাপতি কাজী আবুল হাসিম(৫০) ও যুবদল নেতা আশিকুর রহমান(৪০)।
গতকাল রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব দুল্লাহ ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন স্থানে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
তবে হামলা-ভাংচুর উপেক্ষা করে ওই স্থানেই শত শত নেতাকর্মী লাঠি হাতে পূর্বনির্ধারিত সম্মেলনে অংশ গ্রহন করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সূত্র জানায়, ১৩ নভেম্বর ছিল দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন। এ লক্ষ্যে ওইদিন সকালে স্থানীয় বিএনপি নেতারা পূর্ব দুল্লা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন স্থানে সম্মেলনের মঞ্চ নির্মাণ করে। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা করে সম্মেলন মঞ্চ ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে।
কিন্তু এ ঘটনার পরও বিএনপির নেতাকর্মীরা সম্মেলন থেকে পিছু না হটায় দুপুরে সম্মেলন স্থলে ফের হামলা করে বিএনপির ৩ নেতাকে মারধর করে চলে যায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়ে বিকেলে পূর্বনির্ধারিত স্থানেই সম্মেলন শেষ করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. রেজাউল করিম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান খান রতন, যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান লেবু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম রাজু প্রমূখ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন বাবলু বলেন, হামলাকারিদের কার্যক্রম মেয়ে লোকের মত। যখন আমরা উপস্থিত থাকি না বা সমবেত হওয়ার আগেই তারা হামলা করে চলে যায়। তারা আমাদের মঞ্চ ভাংচুর করে পুড়িয়ে দিয়েছে, বিএনপির কয়েকজন নেতাকের মারধর করেছে। এই অবস্থায় আমরা কি আর ভদ্র লোক থাকার সুযোগ আছে ?
এ সময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা হামলাকারিদের প্রতিহত করব। পরিকল্পিত ভাবে যারা হামলা করেছে তাদের তালিকা তৈরী করুন, ঘরে ঢুকে ঢুকে মারব। কিছু বলি না মানে আমরা দুর্বল না, আমরা এখানে ইউনিয়নের নেতা নির্বাচন করতে এসেছি, ঝগড়া করার জন্য বা যুদ্ধ করার জন্য না। লাঠি নিয়ে আপনাদের আসার কথা না, কিন্তু কেন এসেছেন? কারণ তারা অন্যায় করেছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
তবে এবিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমরা জানা নেই।