বগুড়ায় হোটেল রেস্তঁরা শ্রমিক ইউনিয়নের দিবসের আলোচনা সভায় বক্তরা
সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল ৭ নভেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১০ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতা মিলিত ঐক্যের এই বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাক্সিক্ষত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ ও তার কিছু অনুসারী। পরদিন ৭ নভেম্বর সর্বস্তরের সৈনিক ও জনতা সম্মিলিতভাবে নেমে আসে ঢাকার রাস্তায়, ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির সৃষ্টি হয় দেশের রাজনীতিতে। তার পর থেকেই ৭ নভেম্বর পালিত হচ্ছে 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' হিসেবে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে প্রজাবাহিনী প্রেস লেন ৩য় তলায় বগুড়া জেলা জাতীয়তাবাদী হোটেল রেস্তরা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সাদেক আলীর সভাপাতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন সুলতান। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা ভিশন বগুড়া ব্যুরো প্রধান মোঃ আব্দুর রহিম বগরা, বিশেষ আলোচক ছিলেন দৈনিক দিনকালের বিশেষ প্রতিনিধি কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ বাঘা, জাতীয়তাবাদি সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পবিত্র প্রামানিক, জেলা জাতীয়তাবাদী রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক দলের সভাপতি জিল্লুর রহমান জুয়েল, কৃষকদল নেতা আব্দুল বারী। এতে হোটেল ও রেস্তরা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী হোটেল-রেঁস্তরা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু।