কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতাদের পুলিশের গুলি ও গ্র্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৯ এএম, ১০ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে গত সোমবার কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের গুলি বর্ষণ, লাঠিচার্জ, মিথ্যা মামলা ও গ্র্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জেলা শহরের স্টেশান রোডের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রিয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, অতি উৎসাহি পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানিতে বিএনপিসহ জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হতাহত এবং মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে নির্যাতন চালাচ্ছে। এ ধরণের ন্যাক্কারজনক হামলার পিছনে জড়িত অতি উৎসাহিদের জনগণ চিহ্নিত করে রাখছে। ভবিষ্যতে তাদেরকে এর দায় নিতে হবে এবং জনতার আদালতে বিচার হবে।
কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন। এ সময় জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলন শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হওয়া মানববন্ধন এক পর্যায়ে সমাবেশে পরিণত হয়। মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কর্মসূচি চলাকালে দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
উল্লেখ্য গত সোমবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় যুবদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপসহ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এর ফলে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৯ জনের নামোল্লেখসহ ও অজ্ঞাতনামাসহ ৬০/৭০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামী হিসাবে পুলিশ এ পর্যন্ত জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জমান শরীফ ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ উদ্দিন রনকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।