বিভাগীয় সমাবেশ চূড়ান্ত আন্দোলনের ওয়ার্ম-আপ : ড. খন্দকার মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ৯ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪০ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিভাগীয় সমাবেশ চূড়ান্ত আন্দোলনের ‘ওয়ার্ম-আপ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বুধবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা তো এই সরকারের পতনের আন্দোলন এখনো শুরু করি নাই। আমি বলতে চাই, সরকারের পতনের আন্দোলনে, এই সরকারের বিদায়ের আন্দোলনে এবং আগামীদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এদেশের জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা ওয়ার্ম-আপ করছে। জনগণ অবশ্যই চূড়ান্ত আন্দোলনে আসবে।’
দেশের অবস্থা তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকের বাংলাদেশ সেই ’৭৫-এর পূর্বাবস্থায় চলে গেছে। এখানে অন্যান্য বক্তারা বলেছেন আজকে গণতন্ত্র নাই, অর্থনীতি আজকে ধ্বংসের কিনারায়। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাইরে চলে গেছে, গরিব মানুষ অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে, মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে যাচ্ছে। এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারে না। যারা অর্থনীতিকে লুটপাট করে, অর্থ পাচার করে আজকে দেশের অর্থনীতিকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছে। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিকে মেরামত করা এই সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। যে সরকার দলীয়করণ করে বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের পক্ষে বিচার বিভাগে নিরপেক্ষতা আনা সম্ভব নয়। সারাদেশের মানুষ এটা উপলব্ধি করে, বিশ্বাস করে, এই সরকারের হাত থেকে এই দেশকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, এই দেশকে রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। কোনো স্বৈরাচারী সরকার স্বেচ্ছায় বিদায় নেয় নাই। অতীতে ইতিহাস আছে। আজকে জনগণ প্রস্তুত হচ্ছে। আমরা যে সমাবেশগুলো করছি আপনারা দেখেছেন সেখানে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা এতো বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশে আসছে না, সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করছে। সাধারণ জনগণ আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
বিভাগীয় সমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগমে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা যে সমাবেশগুলো করছি, এখনো কিন্তু আমরা মূল দাবিতে আসি নাই। এই সমাবেশগুলো কিসের জন্য? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, জ্বালানি তেলের দাম কমানো এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে আমরা সমাবেশ করছি। অথচ সমাবেশগুলোতে দেখছেন, এই দেশের সরকার এদেশের জনগণকে কত ভয় পেলে এসব শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কি পরিমাণ বাধার সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ এই আন্দোলনে ভয় পেয়েছে। বুঝতে পারেন জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, বিএনপি এবং জনগণকে ভয় পায় এই সরকার। অতএব যতই তারা (সরকার) হুমকি-ধমকি করুক না কেন কোনো কাজ হবে না। সরকারের সময় শেষ। ইনশাল্লাহ পতন আমরাই দেখে যাবো, আমাদের জনগণ করবে- সেই প্রত্যাশা আমরা আছে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, শিরিন সুলতানাসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।