ছেলেরা যা পারেনি মেয়েরা তা পেরেছে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪২ পিএম, ৯ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলেরা যা পারেনি, মেয়েরা তা পেরেছে। ছেলেরা শুনলে একটু রাগ করবে। রাগ করার কিছু নেই। ছেলেদের প্রতিযোগিতা একটু বেশি। তাও আমি বলব, আমাদের মেয়েরা যথেষ্ট ভালো করছে।
আজ বুধবার সকালে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সাফজয়ী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ এবং কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা হিসেবে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সেপ্টেম্বরে সাফ উইমেনস টুর্নামেন্টে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। এ জন্য এই ফুটবল দলকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হলো। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফজয়ী খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাদের চ্যাপিম্পয়ন ট্রফি তুলে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো অধ্যায়ের পর ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। তারা দেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে পারেনি। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই আমরা একদিকে জনগণের আত্মসামাজিক উন্নয়ন, আরেকদিকে খেলাধুলার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেই।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথম বারের মতো আইসিসি ট্রফি পায়। ’৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপের আয়োজন আমরা করেছিলাম। আইসিসিতে আমাদের ক্রিকেট দল যখন জিতে আসে আমরা বিরাট সংবর্ধনাও দিয়েছিলাম, যাতে মানুষ উৎসাহিত হয়। দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ক্রীড়াঙ্গন আবার একটা কলঙ্কজনক অবস্থায় চলে আসে। অনুষ্ঠানের উপস্থিত খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। খেলার জগতে আসলেই আমার পরিবারের কথা মনে পড়ে। আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, আমার বাবা ফুটবল খেলতেন। আমার দাদা ও আমার বাবা খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আমার ভাই শেখ কামাল ফুটবল খেলতেন। জামাল ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন। আমার বাসাটাই ছিল স্পোর্টস জগত। আমার পরিবারটা খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত। আবাহনী ক্রীড়াচক্র যখন তৈরি করা হয় তখন আমরা সাধ্য মতো সহযোগিতা করেছিলাম।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা বিজয়ী জাতি। সব সময় এটা মাথায় রাখতে হবে। খেলার মাঠেও মাথায় রাখতে হবে- যুদ্ধ জয় করেছি, খেলাও জয় করব। এই চিন্তা নিয়ে সবাইকে চলতে হবে, তাহলে সাফল্য আসবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন। ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী স্মারক প্রদান করেন বাফুফের সভাপতি।