টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
আওয়ামী লীগ প্রস্তুত খেলা হবে : ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৬ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামনে ডিসেম্বর মাস, এই মাসে খেলা হবে, মোকাবেলা হবে, নির্বাচনে হবে, আন্দোলনও হবে; বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। টাঙ্গাইল তৈরি। খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। সাত বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে সর্বশেষ সম্মেলনটি হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন, এই খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে আইন করেছিলেন। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন, যারা এই খুনিদের বিচার বন্ধে আইন করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে তাদের ক্ষমা নাই। এদের ক্ষমা করা যায় না। সেতুমন্ত্রী বলেন, বরিশালে নাকি মানুষের ঢল নেমেছিল। দুবাইয়ের টাকা আকাশে উড়ে। বিএনপি সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছে। এই সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। সাধারণ মানুষের প্রতি বিএনপির কোনো দরদ নেই। এদের দরকার ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। তাই জনগণকে সরকার পতনের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ১৩ বছরে ১৩ মিনিট আন্দোলন করতে পারে নাই। বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি নেতারা একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে নাই। তারা এখন সরকার পতনের আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি বিজয় মিছিল করবে। তারা এখন ‘খোমেনি স্টাইলে’ ক্ষমতায় আসতে চায়। আমরা যদি ডাক দেই তাহলে বিএনপি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
মন্ত্রী বলেন, শুনলাম বিএনপি তাদের হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে আন্দোলন করছে। আসলে তারা তারেক রহমানের হারানো হাওয়া ভবন ফিরে পেতে আন্দোলন করতে চাইছে। এই তারেক রহমানের অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময় আমরা ঘরে থাকতে পারি নাই। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারে নাই। আর আপনারা এখন এসিতে বসে থাকেন। অপেক্ষা করুন, আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তা দেশের জনগণ আপনাদের বুঝিয়ে দেবে। এরপর বাঁশের লাঠিতে পতাকা লাগিয়ে রাস্তায় নামলে খবর আছে।
নতুন কমিটি গঠন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে কমিটি নিয়ে কোনো বাণিজ্য হবে না। কোনো পকেট কমিটি হবে না। কর্মীরা যাকে চায় তিনিই নেতা হবেন। দুঃসময়ে যাদের হাজার পাওয়ারের লাইট দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না তাকে নেতা বানানো হবে না। সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপি, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি। মির্জা আজম তার বক্তৃতায় বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিল বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন এই বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মারা যেত। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ আজ সুখে আছে, শান্তিতে আছে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।