আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৫ পিএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দলীয় নেতাকর্মীদের আরো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এখন এক দফা এক দাবি এই সরকারের পদত্যাগ। এই সরকারের পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
আজ সোমবার বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি এই আহবান জানান। দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। সড়কে বিছানো মাদুরে বসে নেতাকর্মীরা আলোচকদের বক্তব্য শোনেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা ছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি সরকারের পদত্যাগ, দফা এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং নতুন একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের একটা সরকার গঠন হবে। আমরা ইতিমধ্যে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, আমাদের অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন, জেলে যাচ্ছেন, নিহত হচ্ছেন। আমাদেরকে আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমি বলতে চাই, গণতন্ত্রকে পেতে হলে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের অধিকারগুলো ফিরে পেতে হলে এই ত্যাগ স্বীকার করেই এর মধ্য দিয়ে আমাদেরকে সামনের দিকে আমাদের পতাকাকে ঊধের্ব তুলে ধরতে হবে। ৭ নভেম্বরের পতাকা, আমাদের স্বাধীনতার পতাকাকে রক্ষা করতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা এই ৭ নভেম্বরে এই শপথ গ্রহণ করি যে, আমরা সেই লক্ষ্যকে অর্জন না করে, এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে, আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে না এনে, আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে না এনে আমরা আর ঘরে ফিরে যাবো না। এই ব্যাপারে সকলে একমত কি না জানতে চেয়ে নেতাকর্মীদের ‘হ্যাঁ’-সূচক জবাবের পর বিএনপি মহাসচিব বলেন, চলেন আমরা সেই পথে এগিয়ে চলি। ৭ নভেম্বরের এই শপথ সফল হোক।
৭ নভেম্বরকে তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই দিনটিতে দ্বিতীয়বার আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছিলাম। ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে বের করে নিয়ে এসে তারা এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছিল সেটা ছিল সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের, একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি করবার। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান সেই কাজটি মাত্র চার বছরের মধ্যে তিনি সমস্ত বিভক্ত বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, তিনি বদ্ধ অর্থনীতি থেকে মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে এসেছিলেন, তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন এবং দেশে তিনি বাক স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এই অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই স্বপ্নটা হচ্ছে একটা জাতি হিসেবে তৈরি হওয়ার স্বপ্ন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৭ নভেম্বরের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন, দেশকে বিদেশে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানের স্থানে নিয়েছেন। এই দেশকে আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি বিপ্লব সাধন করেছেন। তার পথ ধরে আজকে যে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন, আমাদের জাতি সত্তার পরিচয় দিয়েছেন সেই পথ ধরে বাংলাদেশ চলছে। কিন্তু আজকে আবার সেই বর্তমানে যারা অলিখিত বাকশাল চালাচ্ছে, বাংলাদেশে ঠিক একই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তাই জনগণ আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং এই দিন আজকে গুরুত্বপূর্ণ। আসুন ৭ নভেম্বরের সেই স্পিরিটকে সামনে নিয়ে আমরা আজকে যারা অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে তাদেরকে হটিয়ে এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। এই সরকারের পতনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, ’৭১ সালে রাজনৈতিক নেতারা ব্যর্থ হয়েছিলেন যখন স্বাধীনতা আনতে তখন মেজর জিয়া সফল হয়েছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, ’৭৫ এর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যর্থতায় জিয়া সফল হয়ে ৭ নভেম্বরের স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলেন, সেই চেতনায় দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আসুন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই লুটেরা সরকারের পতন নিশ্চিত করি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঢাকায় ১০ তারিখের সমাবেশের আগেই ঢাকার আশপাশে মামলা হামলা হচ্ছে। এভাবে জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করা যায় না। কাউকে স্তব্ধ করার এখতিয়ার সরকারি সংস্থার নাই। তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি ব্যাংকগুলো দেউলিয়া ঘোষণা করবে, আমানতকারীরা রাস্তায় নামবে। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কোনো আদালতেই শেখ হাসিনার কথা ছাড়া কাজ হয় না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, প্রধানমন্ত্রী কি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বলতে পারবেন লুটপাটকারীদের নাম। পারবেন না। সে কারণে জনগণ মনে করে লুটপাটের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গয়েশ্বর আরো বলেন, তিনি যাবেন আমাদের তাড়াতে হবে না। তিনি কোথায় যাবেন সেটা নিয়ে এখন ভাবছেন। সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, প্রথমবারের মতো বিপ্লব ও সংহতির প্রয়োজনে রাজপথে এসেছি। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ২২ পরিবারের সমালোচনা করছি। এই সরকার সারাদেশে ২২০ পরিবার সৃষ্টি করেছে। যারা কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি করছে। আওয়ামী লীগ এক সময় বলতো আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো, কিন্তু এখন সেটা বলতে ভয় পায় কেন? মঈন খান বলেন, আমরা জনগণের সরকার চাই, লুটপাট শাসন চাই না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবো।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে ৭৫ এর খুনিরা। সরকারপ্রধানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে আপনি সম্মান নিয়ে যেতে পারবেন না।
বিএনপির শরিকদের মধ্যে একমাত্র সদস্য কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন , ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যারা বলে থাকেন জিয়াউর রহমান সুবিধাবাদী, তারা ভুল বলেন, মিথ্যা বলেন। চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রভাগে কল্যাণ পার্টির অবস্থান থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান : নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে জাসাসের আহবায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের তত্ত্বাবধানে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের সঞ্চালনায় এবং যুগ্ম আহবায়ক সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু ও জাবেদ আহমেদ কিসলু দ্বয়ের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাসাসের সদস্য কণ্ঠশিল্পী শাহীনুর আবেদীন ও তার দল। গান পরিবেশন করেন জাসাস এর যুগ্ম আহবায়ক সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু, জাবেদ আহমেদ কিসলু, অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন নিয়ন, জাসাস নেতা কণ্ঠশিল্পী এম আই মিঠু, আশরাফ শাহীন, রাফিজা আলম লাকী, আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান, শামীম, লিপটন এবং জাসাস নেতা অভিনেতা ও কবি সোহেল রশিদ, কবি এনামুল হক জুয়েল এবং সাংবাদিক ও কলামিস্ট মো. মিজানুর রহমান এর লেখা কবিতা পরিবেশন করা হয়।
রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত : রাবিতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সোমবার জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে ডিনস কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. এফ. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) এর সঞ্চালনায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী (অব.)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহিন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি, এবং অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি। আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সায়েদুর রহমান পান্নু, কলা অনুষদের ডিন ও ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ফজলুল হক, ফোরামের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, জিও সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খোন্দকার ইমামুল হক সানজিদ, প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুকুল। এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী এবং জনতার এক মিলিত বিপ্লবের মাধ্যমে দেশবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল কুচক্রীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সেদিন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র। দেশের মানুষ আজ মোটেও ভালো নেই। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পথ ধারাবাহিকভাবে ক্ষতুœ করা হয়েছে এবং জনবিচ্ছিন্ন একটি লুটেরা গোষ্ঠী দেশ ও জনগণের কাঁধের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসে আছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বত্র নির্লজ্জ দলীয়করণের ফলে দেশজুড়ে আজ অদক্ষতা, অচলাবস্থা ও চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এই দেশ বিরোধী অবৈধ সরকার। বাংলাদেশের মানুষের অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা। এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহেদ জামান, ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর ড. তোফাজ্জল হোসেন, প্রফেসর ড. আমিনুল হক, প্রফেসর ড. নুরুল হক মোল্লা, বাণিজ্য অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম সাজিদ, প্রফেসর ড. পারভেজ আজাহারুল হক প্রিন্স, প্রফেসর ড. সাবিরুজ্জামান সুজা, প্রফেসর ড. আনিসুর রহমান, প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আতিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. সারোয়ার জাহান লিটন, প্রফেসর ড. জি.এম সফি, প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান, প্রফেসর ড. ইফতেখারুল ইসলাম মাসুদ, প্রফেসর ড. মোজাফফর হোসেন, প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বাবু প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলামসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আরো অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।