আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে মুর্তিমান আতঙ্ক : এমরান সালেহ প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই জনগণের গায়ে হাত তুলেছে, পেটে লাথি মেরেছে। নিজেদের অনৈতিক অপশাসন টিকিয়ে রাখতে জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, দুর্নীতি, লুটপাট, দখল, চাঁদাবাজী করে জনসাধারণকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলেছে, তাদের আয় ইনকাম সংকুচিত হয়ে গেছে, দেশে আজ নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। তাদের হাতে প্রতিনিয়ত মানুষ নির্যাতিত, নিপীড়িত, অপমানিত হচ্ছে, অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে মুর্তিমান আতঙ্ক।
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র, ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করে দুর্নীতি, দখল, লুটপাটের মাধ্যমে দেশ ও জনগণকে ফোকলা করে দিয়েছে, অন্য দিকে হামলা,মামলা, হত্যা, গুম, দমন, নির্যাতন করে চরম ফ্যাসিবাদ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে দেখলেই মানুষ আতঙ্কে থাকে।
তিনি আজ কিশোরগঞ্জে পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ, হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, গুলি চালিয়ে, হামলা করে কোনও স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারে নাই, আওয়ামী স্বৈরাচারও টিকে থাকতে পারবে না।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, চলমান আন্দোলন নিয়ে দেশ-বিদেশে বিভ্রান্ত করতে এবং নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর কথা বলছে সরকার। সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন জনগণ ও বিশ্ববাসী ওয়াকিবহাল এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। তাদের অনৈতিক শাসন টিকিয়ে রাখতে র্যাবকে দিয়ে গুম খুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
তিনি বলেন, এখন নানা বাহানা করে নাটক মঞ্চস্থ করে নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে পারবেনা সরকার। গতকাল ঢাকায় আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ২০১৫ সালে বিএনপির আন্দোলনকে বিতর্কীত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ জোরপূর্বক পরিবহন চালিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্থা ও দলীয় কর্মীদের দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস করিয়ে তার দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেবার অপচেষ্টা করেছে।
আওয়ামী লীগের এক অঙ্গ সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি কর্তৃক তার বিহঙ্গ পরিবহনের বাসে আগ্নিসংযোগ করে মানুষকে পুড়িয়ে তার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন পরবর্তীতে উক্ত নেতার নির্বাচনী এলাকার নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের গোমর ফাঁস করে দিয়েছে। অথচ মিথ্যা মামলা দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে। এভাবেই আওয়ামী লীগ নিজেরা অগ্নি সন্ত্রাস করে, মানুষ পুড়িয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর ষড়যন্ত্র করেছে। এখন এত বছর পর এসব নিয়ে নাটক করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব করে সরকার নিজেদের হত্যা, গুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, দুঃশাসন আড়াল করতে পারবে না এবং আন্দোলনও দমন করতে পারবে না। বরং এত বছর পর সরকারের মায়া কান্নার আয়োজনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, মানুষের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। দেশের অর্থনীতি লন্ডভন্ড। ব্যবসা বানিজ্যে ধ্বস নেমেছে। মিল কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, উৎপাদন মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেয়েছে, মানুষ বেকার হচ্ছে। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ জীবন যাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে লিপ সার্ভিস ছাড়া সরকারের দৃশ্যমান ভূমিকা নাই।
তিনি চলমান আন্দোলনকে সফল করতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।