জিয়া প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বলে দেশে শৃংখলা ফিলে এসেছিলো : মিনু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এর আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় ডীনস কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক এমপি ও মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক, স্বাধীনতার ঘোষক প্রথাম রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ পরবর্তি দেশের হাল ধরেছিলেন বলে ভঙ্গুর ও বিশৃংখলায় ভরা রাষ্ট্রকে শৃংখলায় নিয়ে এসেছিলেন।
দেশের অবস্থা যখন অত্যন্ত খারাপম সন্তাস, ক্ষুধা ও দারিদ্রে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। আওয়ামী বাকশালীদের অত্যাচারে যখন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছিলো ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী এবং জনতার এক মিলিত বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল কুচক্রীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন তৎকালীন সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সেদিন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র।
দেশের মানুষ আজ মোটেও ভাল নেই। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা ধারাবাহিক ভাবে ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং জনবিচ্ছিন্ন একটি লুটেরা গোষ্ঠী দেশ ও জনগণের কাঁধের উপর সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসে আছে।
প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সর্বত্র নির্লজ্জ দলীয় করণের ফলে দেশ জুড়ে অদক্ষতা, অচলাবস্থা ও চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। সামগ্রীকভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্য্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এই দেশ বিরোধী অবৈধ সরকার। বাংলাদেশের মানুষের অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংকীর্ন দলীয় স্বার্থে একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা।
তিনি আরো বলেন, আজকে যখন ৭ই নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা করছেন তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি। মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলমতকে স্তব্ধ করার জন্য তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এর কঠোর সমালোচনা করে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। সেইসাথে অবিলম্বে আটককৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন প্রধান অতিথি।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. এফ. নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী (অবঃ)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক রাজশাহী মাহনগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরমের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সায়েদুর রহমান পান্নু, কলা অনুষদের ডীন ও ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ফজলুল হক, ফোরামের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, জিও সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. খোন্দকার ইমামুল হক সানজিদ ও প্রফেসর ড. জি এম শফি।
এছাড়াও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ফোরমের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহেদ জামান, ফোরমের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর ড. তোফাজ্জল হোসেন, প্রফেসর ড. আমিনুল হক, প্রফেসর ড. নুরুল হক মোল্লা, বাণিজ্য অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম সাজিদ, প্রফেসর ড. পারভেজ আজাহারুল হক প্রিন্স, প্রফেসর ড. সাবিরুজ্জামান সুজা, প্রফেসর ড. আনিসুর রহমান, প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আতিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. সারোয়ার জাহান লিটন, প্রফেসর ড. জি.এম সফি, প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান, প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলামসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আরো অনেক সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।