নোয়াখালীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপক্ষ্যে নোয়াখালীতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার বিকালে নোয়াখালী আইনজীবি সমিতি মিলনায়তনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য মো: শাহজাহান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমগীর আলো, জেলা বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অ্যাড. শাহাদাত হোসেন, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ, সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশমাতৃকার চরম সংকটকালে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রিরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। ৭ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন সিপাহী-জনতা। এ দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। এ অরাজক পরিস্থিতিতে আজকের এই দিনে দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।
বক্তারা আরো বলেন, সময়ের প্রয়োজনে এই দিন দেশের আপামর জনসাধারণ ও সিপাহী এক হয়ে এ বিপ্লবের জন্ম দেন। দেশ প্রেমের অনুপ্রেরণায় ৭ নভেম্বরের এ বিপ্লব। সেনা অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানে দেশ ও জাতি যখন চরম বিপদে সে পরিস্থিতি থেকে মুক্তি এনে দিয়েছিল এ বিপ্লব। ভূতপূর্ব সে বিপ্লবের মধ্যদিয়ে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। জাতি আরেকবার ৭ নভেম্বরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেই ইন্শাল্লাহ। এ বিপ্লব জাতীয় জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছিল যা জাতিকে মুক্ত করেছিল। ঠিক তেমনিভাবে আরেকটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। ৭৫'র ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা ঐতিহাসিক বিপ্লবের তাৎপর্য বুঝতে হলে সামনে রাখতে হবে তখনকার সময়কার বাংলাদেশ। সে দিন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধীর ভয়ানক ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করেছিল এ বিপ্লব। আজকের এদিনে আমাদের শপথ হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে লড়াই আমরা করছি সেই লড়াইকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবো। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং একই সঙ্গে সমগ্র দেশের মানুষকে মুক্ত করে একটা সত্যিকার অর্থের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতষ্ঠা করব।
এই সময় বক্তারা বলেন, এই দেশে হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। বিএনপি বর্তমানে যে আন্দেলন নিয়ে রাজপথে আছে, এখান থেকে পিছুহটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বিএনপির এই আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের জনগণ সামিল হয়েছে। হাসিনা হঠানোর আন্দোলন এখন গণমুখী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আর এই আন্দোলনের সফলতা হবে রাতের ভোটের একনায়কতন্ত্র ফ্যাসিষ্ট সরকারকে হঠিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।