৭ নভেম্বরে বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছিলেন শহীদ জিয়া : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৭ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:০৬ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
৭ নভেম্বর 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে সকালে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
আজ সোমবার সকাল ১১টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পস্তবক অর্পন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, '' ১৯৭৫ সালের এদিনে দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্ত করে নতুনভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এজন্যই এদিনটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাতপর্য্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বর শুধু একটা দিবস নয়, এটা ছিলো ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ করেছিলো সেই যুদ্ধের ফলে অর্জিত যে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংহত করবার দিন ছিল্।বাংলাদেশের শত্রুদেরকে পরাজিত করে সেদিন দেশপ্রেমিক সৈনিক-জনতা পুনরায় স্বাধীনতাতে উজ্জীবিত হয়ে দেশকে রক্ষা করবার শপথ গ্রহন করেছিল্।"
'' আজকে এদিনে আমাদের শপথ হচ্ছে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে লড়াই আমরা করছি সেই লড়াইকে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবো। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে দেশে ফিরিয়ে আনব এবং একই সঙ্গে সমগ্র দেশের মানুষকে মুক্ত করে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব।"
৭ নভেম্বর দিবসটিকে বিএনপি 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস', আওয়ামী লীগ 'মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস' এবং জাসদ 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস' হিসেবে পালন করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনা প্রধানের দায়িত্ব আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দী।
৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।
জিয়াউর রহমানের এই শ্রদ্ধা নিবেদনের এই অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের বাবলু, ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, নুর মোহাম্মদ খান, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, সেলিম রেজা হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, হারুনুর রশীদ, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, অঙ্গসংগঠনের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, হেলেন জেরিন খান, নিলুফার চৌধুরী মনি, আমিনুল হক, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, এসকে জিলানী, রাজিব আহসান,শাহ নেছারুল হক, নুরুল ইসলাম তালুকদার, হাসান জাফির তুহিন, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিন, আবদুল কালাম আজাদ, হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে নেতাকর্মীরা প্র্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেয়।
৭ নভেম্বর উদযাপনে বিএনপি দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহন করেছে। ভোরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় অফিসে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিকাল তিনটায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হবে উন্মুক্ত আলোচনা সভা।