দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না : বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ৬ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২৬ এএম, ৩০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
সরকারের দমনপীড়নে ‘গণজাগরণ দমানো যাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রবিবার (০৬ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারি জারির প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর ১২টা থেকেই ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে যুবদলের নেতারা ব্যানার-ফেস্টুনসহ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে জড়ো হন। তারা বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও তারেক রহমান দম্পতির গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন তাতে আমি গুরুত্ব দেই না। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য ওয়ারেন্ট, অসংখ্য মামলা এবং তার বিরুদ্ধে সাজা। তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তাতে কি তারেক রহমান সাহেবের কিছু যায় আসে। আর আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে তাকে গৃহে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এই মিথ্যা মামলা, এই হত্যা, এই অত্যাচার-নির্যাতনে কি আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে পেরেছে? বাংলাদেশের মানুষকে কি দাবানো সম্ভব হয়েছে? হয়নি, হবেও না। একটা কথা আছে, সমুদ্রে নদীতে শয্যা, শিশিরে কিবা ভয়। আরে আমি তো সমুদ্রে বাসা বেঁধেছি, সেখানে এক কোনা শিশিরে আমি ভয় পাই না। আজকে সারাদেশের মানুষ ওই শপথ নিয়ে জেগে উঠেছে যে, ভয়াবহ দানবীয় এই কর্তৃত্ববাদী একনায়ক সরকারকে তারা হটাবেই। আমরা তারেক রহমান সাহেবকে ফিরিয়ে আনবো, এদেশের মানুষ ফিরিয়ে আনবে রাষ্ট্রনায়কের মতো করে, জুবাইদা রহমানকে ফিরিয়ে আনবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। আমাদের দেশের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা আছে, সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করবে। নতুন করে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এবার ইনশাল্লাহ আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব। আমরা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করব, আমরা একটা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা চাই, আমরা ভয়ভীতিমুক্ত একটা সমাজ চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলছি। আসুন যুবকরা জেগে উঠুন, তরুণরা জেগে উঠুন, সমস্ত মানুষ জেগে উঠুন। এই জাগরণে ওদেরকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের বিজয় ঘটাতে হবে।
গত শনিবার বিএনপির বরিশালের সমাবেশের দুটি চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেদিন সমাবেশে একজন বয়স্ক মানুষ ৩ দিন ধরে শুয়ে ছিলেন, তার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, আপনি এতো কষ্ট করে কেন এসেছেন? তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভালো মহিলা, বিএনপি ভালো দল, আমার ঘরে খাওয়া নেই, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমার ভাতের ব্যবস্থা হবে। অন্য আরেকজন বুড়ো মহিলা সমাবেশে এসেছিলেন বহু কষ্ট করে, তার কাছে জানতে চাওয়া হলো আপনি কেন এসেছেন মা? বুড়ো মা বলেন, আমি পরিবর্তন দেখতে এসেছি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন! বরিশাল যাবার পথে ইশরাকের গাড়ি বহরে হামলা করা হলো, অথচ তার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হলো। তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। কোনো বাধাই কাজে আসছে না। এ লড়াই গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াই, এ লড়াই মুক্তির লড়াই। এ সংগ্রামে জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে ও সকল রাজনৈতিক দলকে এক হতে হবে, জাতিকে এ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে উদ্ধার করতে হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ভেবেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করলে বিএনপি থাকবে না। তারেক রহমান রাজনীতিতে আসায় আপনাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই না। কিন্তু আপনাদের সহ্য করতে হবে। তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন এবং এদেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবেন। এটা আপনাদের সহ্য করতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে তারেক রহমানের মামলা কবর খুঁড়ে বের করা হয়েছে, আর আপনাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে হচ্ছে। এর সাক্ষী দেশের জনগণ। আজকে ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে, কার সঙ্গে খেলা হবে? বিএনপির সঙ্গে? পারবেন না। সেই খেলায় পরাজিত হবেন, কারণ সমস্ত দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। তারেক রহমান আজকে দেশের মানুষকে দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জাগিয়ে তুলেছেন বলেই তাকে দমিয়ে রাখতে এত মামলার হিড়িক।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার, দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, ছাত্রদলের সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
এদিকে গতকাল রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের ‘যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জনগণ আমাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। যে কয়েকটা সমাবেশ (বিভাগীয় সমাবেশ) হলো এই সমাবেশে আমার যেটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে দি পিপলস আর এহেড। বরিশালের সমাবেশ, খুলনার সমাবেশ, ময়মনসিংহের সমাবেশ- মানুষ সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে চলে এসেছে। বরিশালের সমাবেশের আগে সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মানুষ নদী সাঁতরে পার হয়েছে, পরপর দুই রাত খোলা আকাশের নিচে তারা শুয়ে থেকেছে। এটা দেখে আমরা বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মে উঠেছে- মানুষের আকাক্সক্ষা হচ্ছে পরিবর্তনের, তারা পরিবর্তন চায়। তিনি বলেন, এতো মামলা- মোকাদ্দমা করে বিএনপিকে তো আপনারা একেবারে নিঃশেষ করে দিতে পারেননি, স্তিমিত করে দিতে পারেননি। কত কথা বলেছেন, হাঁটুভাঙা, মাঝা ভাঙা, অনেক কিছু বলেছেন। তাই যদি হয় তাহলে কেন এতো ঘাবড়ে গেছেন, এতো আশঙ্কা কেন? আর বলছেন কি? পালাবো না, আমরা জেলে যাবো। তাহলে জেলে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে শুরু করেছেন। এটাই তো বুঝা উচিত ছিল। এতো দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দল। আমরাও তো আশা করেছিলাম যে তারা জনগণের চোখের ভাষাটা বুঝতে পারবে, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবে। আমি বারবার বলি, ভাই আবদ্ধ ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। সাধারণ মানুষ রিকশাওয়ালা, শ্রমিক ভাই, গরিব কৃষক তাদের সাথে কথা বলে দেখেন। তারা কেমন আছেন?
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মহিলা দলের নেত্রী সুলতানা আহমেদকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে। দক্ষিণ সিটির আমাদের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ ১১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ভোলার আমাদের সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের বহনকারী লঞ্চে হামলা করে মামলা দেয়া হয়েছে। এখন গায়েবি মামলা শুরু হয়েছে আবার। সাভারে কোনো ঘটনাই ঘটেনি, মিছিল ছিল সেখানে আমাদের সাভারের নেতা দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনসহ দেড়শ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রসেস হেজ স্টার্ডেড যে, আন্দোলনকে কিভাবে মামলা- মোকদ্দমা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া যায় দমননীতি চালিয়ে। সেই প্রসেস তারা শুরু করেছে। তিনি বলেন, তারা (সরকার) বুঝতে পারছে না যে, জনগণের পিঠ কিন্তু দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই হামলা-মামলা- মোকদ্দমা দিয়ে তো অতীতে লাভ হয়নি। এখনো হবে না। আজকে ১৫ বছর ধরে এগুলো করেছে ।
যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একসাথে আন্দোলনটা করতে চাই যুগপৎভাবে করতে চাই। এটা আমাদের স্থির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, আজকে আমরা সবাই যদি একসাথে, একজোটে-সেটা জোট করতে হবে তা নয়। একসাথে বলি সেই যুগপৎ বলি বা জোট বলি যেটার মাধ্যমে এই ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে জনগণের একটা সরকার আনতে চাই তাহলে বোধহয় সেটা অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, অনেক বেশি জোরদার হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি হবে না হবে বা নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে না হবে সেটা আমরা আলোচনার মধ্য দিয়ে ঠিক করে ফেলবো। এটা বেশি সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করি না। আর জাতীয় সরকার আমরা বলেছি যে, আন্দোলনের পরে নির্বাচন শেষে যারা আসবেন আমরা সব দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটা জাতীয় সরকার গঠন করতে চাই। এটা আমাদের প্রস্তাব। তিনি বলেন, সেজন্য আমরা চাই, এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুতই আমাদের বসা উচিত এবং সমাধান করা উচিত। কারণ আমরা একটা বিষয় একমত হয়েছি যে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা একযোগে যুগপৎ আন্দোলন করব। বাকি ইস্যুগুলো আলোচনা করে সমাধান করতে বেশি সময় লাগবে বলে আমার মনে হয় না।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে কথাটা কিছুক্ষণ আগে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন যে, মন্ত্রী বানাতে হবে ওগুলো না। আমরা বলি তো মন্ত্রী বানাতে হবে না। আমাদেরকে ক্ষমতা দিয়েন না কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন। এদেশের মানুষকে বাঁচতে দিন, এদেশের মানুষকে একটা উচ্চ সমাজে বাঁচতে দিন। এদেশের মানুষকে তাদের আশা-আকাক্সক্ষাগুলো পূরণ করবার একটা ক্ষেত্র তৈরি করে দিন। আসুন আমরা সবাই একসাথে হই। এটাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি বলেন, আপনারা বলেছেন যে, এর পরে কি হবে? আসুন আমরা তো প্রস্তাব দিয়েছি। আপনারা প্রস্তাব দিচ্ছেন, আমরাও প্রস্তাব দিচ্ছি। আলোচনা করে আমরা ঠিক করে ফেলব সামনের দিনে কি হবে, কিভাবে এগুতে পারবো, কিভাবে আমরা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র তৈরি করব আসুন আমরা চেষ্টা করি, কথা বলি। আমার বিশ্বাস কোথাও কোনো কিছু আটকাবে না। আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা পেরেছি তো অতীতে বহুবার। আমরা ১৯৪৬ সালে পেরেছি, আমরা ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন করে ভাষা নিয়ে এসেছি, আমরা তো ৯০ এ গণঅভ্যুত্থান করেছি, আমরা তো তারও পূর্বে ৬৯-এ গণঅভ্যুত্থান করেছি, ছাত্র গণঅভ্যুত্থান করেছি। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। এক সাথে করেছি বলে সফল হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, একসাথে যদি আমরা যাই সামনের দিকে, এক সাথে লড়াই করি তাহলে আমরা জয়ী হবো।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিভিন্ন সমাবেশ থেকে বুঝা যায় দেশে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছে। গোটা পরিস্থিতি এখন বদলে গেছে। এখন আর কোনো ভয়ের চাঁদর নেই। এই যে সংকট চলছে এই সংকটে বিএনপি একা নয়, আমরাও পাশে আছি। আসুন আমরা সকলে এই সংকট উত্তরণে এক হয়ে কাজ করি। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা নীতিগতভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই শর্তহীনভাবে, জনগণের কল্যাণ চাই, একটা সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই। ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আগামী ১২-১৯ নভেম্বরের মধ্যে বিএনপির সাথে ‘যুগপৎ আন্দোলনের’ বিষয়ে সংলাপ করবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিএনপির সমাবেশগুলোকে বাজারের আগুন ও মানুষের মনের আগুন এক হয়ে গেছে। এটাই বাস্তবতা। এই পরিস্থিতি এখন গণঅভ্যুত্থানের কাছাকাছি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একটি নতুন রাজনৈতিক চুক্তির ভিত্তিতে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমাদের সরকার পতনের আন্দোলনকে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।