আমরা কথা বললেই যদি বাড়াবাড়ি হয়, আরো বেশি বাড়াবাড়ি হবে : আমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২৬ এএম, ৩০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কয়েক হাজার মানুষ শহীদ হলেও প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। অনেক কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি- গ্রেফতার করবেন, মামলাগুলো সচল করছেন, কয় জনকে গ্রেফতার করবেন তারা? যখন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথুরিয়া, সারা বাংলাদেশ বন্ধ হয়ে যাবে তখন তাকে পদত্যাগ করতেই হবে।
আজ শনিবার (০৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ বাংলাদেশ এলডিপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এ সব কথা বলেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।
আমান বলেন, আমরা সিভিল প্রশাসনসহ পুলিশ বাহিনীকে বলব আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার নির্ধারণ হবে। এইটা কিন্তু ১৮ ও ১৪ সাল না, এটা ২২ সাল ও ২৩ সাল। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কয়েক হাজার নেতাকর্মী শহীদ হলেও শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সম্পর্কে শেখ হাসিনা যে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে দেশের আইন তিনি ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে রাখেন। এই আইন তিনি নিজেই পড়েন। নিজেই তৈরি করেন এবং নিজেই বলেন, আমি ওনাকে দয়া করে জেলখানা থেকে বের করেছি। আবার বেশি বাড়াবাড়ি করলে ওনাকে জেলে পাঠাব। বাড়াবাড়ি আবার কী? আপনার অধীনে নির্বাচন করবেন আর আমরা কথা বলতে গেলে সেটা যদি বাড়াবাড়ি হয় তাহলে এর থেকে বেশি বাড়াবাড়ি হবে শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর জন্য।
বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশ সফল হয়েছে উল্লেখ করে আমান উল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা যেভাবে একযোগে এক সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। যেভাবে সচেতন নাগরিকরা রাস্তায় নেমেছে, তারা রাজপথ থেকে সড়ে দাঁড়াবে না।
তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখছেন না বরিশালে খোলা মাঠে ময়দানে মানুষ কিভাবে রান্না-বান্না করে খাওয়া-দাওয়া করছে। জনগণ সরকারকে নামানো ছাড়া রাজপথ ছাড়বে না। আবারো শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখছে পূর্বের মত নির্বাচন করবেন। এটা হবে না। বাংলাদেশের জনগণ এটা হতে দেবে না। বাংলাদেশ এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা ও এলডিপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন।