২ দিন আগেই পটুয়াখালীর নেতা-কর্মীরা আসছেন : মিছিল- স্লোগানে সরগরম বিএনপির সমাবেশস্থল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ৩ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০৯ এএম, ৫ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫
পরিবহন ধর্মঘট এড়িয়ে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে দুই দিন আগেই বরিশালের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে পটুয়াখালীর বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে বাসে করে সমাবেশের জন্য রওনা হয়েছেন অনেকেই।
ইতিমধ্যে অনেক নেতাকর্মী বরিশালে অবস্থান করছেন বলে নিন্ডিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। বিভাগীয় গণসমাবেশের একদিন আগে ৪ ও ৫ নভেম্বরের বরিশাল জেলা বাস মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পটুয়াখালীর বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এদিকে আজ রাত ৮টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পটুয়াখালী বিএনপির নেতারা বলছেন, সমাবেশে যেতে বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাস মালিকরা অগ্রিম যে টাকা নিয়েছিল, তা ফেরত দিচ্ছেন। এসব করে গণসমাবেশ প্রতিহত করা যাবে না। এই জন্য সবাই আগে থেকেই বরিশালে পৌঁছে গেছে। বাকিরাও বিকল্প উপায়ে পৌঁছে যাবে। গণসমাবেশ কোনভাবেই থামানো যাবে না।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জি এস বাচ্চু বলেন, অনেক কষ্টে আমরা বরিশাল এসেছি। আওয়ামী লীগ যদি এতই গণতান্ত্রিক দল হয়, তাহলে পথে পথে বাধা কেন দিচ্ছে? বাধা দিয়ে কোনো লাভ নেই। আমাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেই।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, এ সরকারের পতনের দাবিতে সারাদেশ এখন আন্দোলনে উত্তাল এবং আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে সবাই যোগ দেবে। গত দুই দিন ধরে অনেক নেতাকর্মী বরিশালের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবস্থান করছেন। আজকের পর থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে এই জন্য আজ সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দুই দিন আগে মিছিল-স্লোগানে সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যান।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা এসে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন। এছাড়া উদ্যানে একদিকে চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। অন্যদিকে ব্যানার ফেস্টুন লাগাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। আর দলে দলে নেতা-কর্মীরা এসে মিছিল আর স্লোগানে মুখর করে রেখেছেন পুরো উদ্যান।
বরগুনা থেকে আসা এক ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম জানান, নেতা-কর্মীদের নিয়ে বুধবার রাতেই বরিশালে এসেছি। দুদিন আগে থেকে হোটেল বুকিং দিয়ে রাখায় কোনো রকমে রুম পেয়েছি। ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. আবু জাফর দিদার বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কোনো রকম নৌকা দিয়ে ফেরিতে পার হয়ে বরিশাল পৌঁছেছি। তাও আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে ফেরির স্টাফরা জোর করে নামিয়ে দিয়েছে।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোসলেহ উদ্দিন সিকদার বলেন, কোথাও কোনো হোটেল খালি পাইনি। আজ রাতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠেই থাকব। জানি হোটেলে খাবার থাকবে না। এজন্য আমাদের নেতারা মাঠে খাবারের ব্যবস্থা করবেন।
গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের অপকৌশলের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টা জবাব হচ্ছে দুদিন আগেই মাঠে আসছেন তারা। সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করে বরিশালের গণসমাবেশ বানচাল করতে পারবে না।