গণতন্ত্র ফেরাতে দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মতোই আরেকবার জেগে উঠবে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ৩১ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪২ এএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গণতন্ত্র ফেরাতে ‘অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মতোই আরেকবার জেগে উঠবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দূর্গাপূজা পরবর্তি এক সংবধবর্না অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘‘আজকে দেখুন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনে কিন্তু লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ যুক্ত হচ্ছে। অর্থাত সবাই চায় এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৮ হাজার মাইল দূর থেকেও তিনি যেভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছেন, যেভাবে দলকে পরিচালনা করছেন যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন আমি বিশ্বাস করি না শুধু, আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিলো সেই ভাবেই জেগে উঠবে এবং ভয়াবহ যে অসুর সেই অসুরকে তারা পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই এদেশে একটা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করবে।”
দূর্গাপূজার পর বিএনপির পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সংবর্ধনা জানাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। লন্ডন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তিনি অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি মহাসচিব তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘‘আমরা সবাই এখন যে বিপদে আছি, একটা সংকটে আছি, ভয়ংকর একটা সংকটে আছি। সেই সংকটটি হচ্ছে অস্তিত্বের সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষার সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সংকট। সেই সংকটকে কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের আন্দোলনের বিকল্প নাই। আমাদের মনে রাখতে আজকে আমার দেশ সংকটে, আমার জাতি সংকটে। ১৯৭১ সালের কথা আমরা সব সময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয় কিন্তু স্বাধীনতার চেতনা কি? স্বাধীনতার চেতনা ছিলো আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত করা হবে, স্বাধীনতা চেতনা হচ্ছে সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেটাই আজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, ‘‘একটা কথা খুব জরুরী সেই কথাটা হচ্ছে যে, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারোই অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। যে কথাগুলো এখানে দুই-এক জন বলেছেন যে, বিএনপি এটার মূল কথাটা ছিলো ইনক্লুসিভ পলিটিক্সের কথা। যে সবাইকে নিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বর্ণ সবাই নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদী সেই জাতীয়বাদ হচ্ছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। ”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি আজকে এখানে অনুপস্থিত। নিজের ইচ্ছায় নন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রথমে কারাগারে এখন তাকে গৃহে অন্তরীন করে রাখা হয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যার এখানে স্বশরীরে থাকার কথা তিনি আজকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে ৮ হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছেন। কিন্তু সুভার্গ্য আমরা তিনি ৮ হাজার মাইল দূর থেকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির অমলেন্দু দাস অপু, জয়ন্ত কুমার কুন্ড, মিল্টন বৌদ্ধ, তুরন দে, সুশীল বড়ুয়া, অপর্ণা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, প্রয়াত নেতা গৌতম চক্রবর্তীর স্ত্রী দিপালী চক্রবর্তী, সুকৃতি কুৃমার মন্ডল, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।