চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন
আওয়ামী লীগের সমাবেশে এখন চেয়ার থাকে, লোক থাকে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকবেন। কিন্তু আমরাতো গত ১২ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া সমাবেশ করেছি। আপনারা শেখ হাসিনা ছাড়া শুধু ওবায়দুল কাদের দিয়ে মিটিং করেন, দেখেন কী পরিমাণ লোক হয। এখন থেকে খবর পাচ্ছি, সামনের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নাকি বিরানির দোকানে অর্ডার দিয়ে রাখছে। আমরাতো এসব করি নাই। তারপরও জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। মানুষ না খেয়ে, রোজা রেখে যে যেভাবে পেরেছে সমাবেশে যোগ দিয়েছে। এরমধ্যেও আসার পথে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা দেখতে পাবো ৪ ডিসেম্বর বিরানির প্যাকেট রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকবে। নারায়ণগঞ্জে তারা একটি সমাবেশ করেছে, সেখানে চেয়ার ছিল লোক ছিল না।
আজ শনিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বুধবার দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলে পুলিশের হামলা ও আহবায়ক মন্জুর আলম তালুকদার সহ ১০ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি ও নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানকেতো আমরা দায়িত্ব দিই নাই পলোগ্রাউন্ড মাঠে কী পরিমাণ লোক জমায়েত হয়েছে বলতে। জনগণ দেখেছে ১২ অক্টোবর কী পরিমাণ লোক জমায়েত হয়েছিল। সকাল ৭টা থেকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে মানুষ আসে। লোক এত বেশি ছিল, পলোগ্রাউন্ড মাঠ পূর্ণ হয়ে নিউমার্কেট, সিআরবি, কাজির দেউড়ি, টাইগারপাস পর্যন্ত মানুষের ভীড়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। আপনারা যেহেতু জোর করে বলছেন, এক লাখ লোক হয়েছে। তাহলে আমার একটি প্রস্তাব রয়েছে ওবায়দুল কাদেরের কাছে। আমি যেসব জায়গার নাম বললাম, পলোগ্রাউন্ড থেকে ওইসব জায়গা মাপেন। আপনাদেরই গণনায় বুঝতে পারবেন, সেদিন চট্টগ্রামে কী পরিমাণ মানুষ জমায়েত হয়েছে। আমরা বলছি ১০ লাখের অধিক কিন্তু জনগণ বলছে আরও বেশি।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী বর্তমান সরকার দেশব্যাপী বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দায়ের করে ভয়াবহ দুঃশাসনের এক জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিভিন্ন বাহিনীকে অন্যায়ভাবে নিজেদের হীন স্বার্থে অপব্যবহার করে সরকার তাদেরকে জনগণের মুখোমুখী দাঁড় করাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে কাজ না করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। সারাদেশে বিরোধীদলের উপর নির্যাতন চালিয়ে দেশকে ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে। তিনি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান নির্যাতন নিপীড়নের ধারাবাহিকতায়ই মন্জুর আলম তালুকদার সহ ১০ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রেখেছে। কিন্তু হামলা মামলার মাধ্যমে বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। বিএনপি কোনো সময় আপোষ করেনি। এসব বানোয়াট মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে মামলা দায়েরের ঘটনা নিত্য ঘটছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে হামলা ও গ্রেফতার তাদের বাকশালী শাসনের নগ্ন উদাহরণ। তিনি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলে সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরওয়ার উদ্দিন সেলিম, সদস্য সচিব আকবর আলী, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুল ইসলাম বাবুল, মহানগর সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, অ্যাড. সাইদুল ইসলাম, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল হক চৌধুরী মাসুদ, উত্তর জেলা সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এস এম মনসুর, ওমর শরীফ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ইউসুফ তালুকদার, আলাউদ্দিন মনি, দক্ষিণ জেলা সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. মফিজুর রহমান, আব্দুস সবুর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, আবু নাঈম দুলাল, সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, দিদার হোসেন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন, এমদাদুল হোসেন স্বপন, মোখলেছুর রহমান, মাহবুব খালেদ, তাজুল ইসলাম নয়ন, রাসেল খান, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আশরাফুল হারুন, আলী নুর মণি তালুকদার, আলাউদ্দিন তালুকদার, কামাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন বাবর, মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম, নাছির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, সফিউল করিম সফি, কামাল উদ্দিন, মাসুদ সিকদার, মতিউর রহমান রাসেল, ওবাইদুল হক রিকু প্রমুখ।