রংপুরে বিএনপির গণ সমাবেশ ঠেকাতে পুলিশ ও সরকারী দল মরিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ২৮ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৫ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেনঅভিযোগ করেছেন, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচালকরতে পুলিশ ও সরকারী দলের লোকজন বিভিন্ন অপতৎপরা চালচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ স্থল রংপুর কালেক্টর ঈদগাঁ মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সমাবেশে আসা লোকজন কে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। হোটেল সহ বিভিন্ন স্কুলে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদের হুমকী ধমকী দিচ্ছে। তবে প্রশাসনের লোকজকে মনে রাখতে হবে এই সরকার শেষ সরকার নয়। সুদুর রৌমারী রাজিবপুর, হাকিমপুর ও তেতুলিয়া থেকে লোকজন হুহু করে আসছেন। তাদের এই আসা যেন বাধঁভাঙ্গা শ্রোতের মত। এই শ্রোত কোনো বাধাঁ মানবে না। আওয়ামী লীগের লোকজন সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করছেন। জনমনে বিভান্তি ছড়াতে তারা বলছেন নান আজগুবি কথা। শহীদ জিয়া,খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সৈনিক রা কখনেই কারা অধিকারে হস্তক্ষেপ করেনা। তাই আওয়ামী লীগ নেতার বিল বোর্ডে বিএনপি‘র পোষ্টার সাটানোর অভিযোগ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারের আঙ্গুলের ইসারায় বাস মালিকেরা ধর্মঘট ডাকলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নেতা-কর্মীদেও হয়রানী করছে। রংপুরের যে সকল হোটেল মোটেলে বিএনপির কর্মী, সমর্থকেরা অবস্থান করছে সেসব জায়গায় তারা রেড দিচ্ছে।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি বলেন, ক্ষমতা চিরোস্থায়ী নয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার গোটা বিভাগকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সাধারণ মানুষ কোথায় যেতে পারছে না। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীরা তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না। গত কয়দিন থেকে প্রশাসনের লোকেরা তাদের সহযোগীতা করলেও এখন তারা সরকারের ইসারায় গণসমাবেশে আসা মানুষদের হয়রানি করছে। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই দিন বেশিদিন থাকবে না। আপনারা নিরোপেক্ষ ভুমিকা পালন করেন। জনগণের উপর নিপিড়ন করে কেউ বেশি দিন ক্ষতায় থাকতে পারে নাই আপনারাও পাবেন না।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, আমরা সকলের সহযোগীতা চাই। কিন্ত পুলিশ বাধা সৃষ্টি করছে। বাস ধর্মঘট থাকার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে। সেখানেও গিয়ে পুলিশ ও সরকারী দলের লোকেরা হুমকি ধমকি দিচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হারুনূর রশীদ এমপি বলেন, মানূষ ভোট দিতে পারে না। বিদ্যুৎ নেই। দ্যব্যমূল্যের দাম নাগালের বাহিরে। সে দিকে সরকার খেয়াল না দিয়ে রংপুরের মহাগণ সমাবেশ বিভাবে বানচাল করা যায় সেই চেষ্টা তারা করছে। সরকারী দলের লোকেরা ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমারা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ করতে চাই। সমাবেশ করতে গিয়ে পুলিশ বা সরকারী দলের লোকেরা কোনো অপচেষ্টা করলে এর দায় সরকারকে বহন করতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক,সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনেয়েম মুন্না,ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনক জাহান শ্রাবন, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু. জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপি‘র সদস্য সচিব অনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন প্রমূখ।
তিনি আজকের গণ সমাবেশ সফল করার জন্য গণ মাধ্যমের সহযোগীতা কামনা করে বলেন, আনেক প্রতিকুলতার মধ্যে দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা কাজ করছেন। তার পরেও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুদৃঢ করতে আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম জাতী চিরদিন মনে রাখবে।
উল্লেখ্য, সন্ধ্যার নামার সাথে সাথেই সমাবেশ স্থলে লোজন এসে আবস্থান নিতে শুরু করেছেন। এছাড়াও রংপুর বগুড়া মহসরকে এবং রংপুর দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থনে সমাবেশ স্থলে আসা লোকজন তাবু খাটিয়ে রাত্রি যাপন করছেন। তারা হাড়ি পাতিল নিয়ে রান্না করে খাবারের ব্যবস্থা করছেন। এনাদের বিভিন্ন ভাবে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহযোগীতা করছে।