কৃষকদল রাজশাহী জেলা শাখার পরিচিতি সভা
দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে : তুহিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ২৮ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৩ এএম, ৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
‘যারা যোগায় ক্ষুধার অন্ন, আমরা আছি তাদের জন্য’ এই স্লোগান নিয়ে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ রাইফেলস ক্লাব হল রুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে কৃষকদলের এই পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।
তিনি বলেন, কৃষি ও কৃষক হচ্ছে একটি দেশের হার্ট। কারণ কৃষক না বাঁচলে কৃষিও বাঁচবে না। কৃষিকে আধুনিকায়ন ও শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কৃষিতে অন্তর্ভূক্তি করার লক্ষে এবং দেশের কৃষির উন্নয়নে কাজ করার জন্য ১৯৮০ সালে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, উন্নয়নের রুপকার ও কৃষি বিপ্লবের মহানায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দল গঠন করেন। নানা টানা পরেনের মধ্যে দিয়ে দলটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর এই দলের পতাকাতলে এসে দেশের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশ এখন মহাসংকটের মধ্যে পরে গেছে। বর্তমান অবৈধ ও নিশি রাতের ভোটের প্রধানমন্ত্রী দেশকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশের রিজার্ভ তিনি চাবিয়ে খাননি। আসলে তিনি রিজার্ভ গিলে খেয়ে দেশকে মহাবিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে জানান তিনি। এই হায়নারুপি সরকারকে হটাতে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারুন্যের অহংকার আগামীর দেশ নায়ক তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখের পর থেকে এই আন্দোলন কঠোর ও একদফায় রুপ নেবে বলে হুঁমিয়ারী দেন তিনি।
তিনি বলেন এর নমুনা স্বরুপ বিএনপি’র গণসমাবেশ প্রতিটি বিভাগে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ সফলভাবে করা হয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানের হুকুমে বাকশালী ও আওয়ামী আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা গণসমাবেশে বাধা প্রদান করছে। সরকারের মন্ত্রীরা হুমকী দিয়ে গণসমাবেশ বিভাগে যানবাহন বন্ধ করে দিলেও তারা কোনভাবে জনগণকে রুখতে পারেনি। আগামীতেও পারবেনা। আগামী তিন ডিসেম্বর রাজশাহীর গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। এর কারণ ৩টা গণসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ শিক্ষা নিয়েছে। এজন্য সরকার জোর করে সপ্তাহব্যাপি রাজশাহী বিভাগেব যানবাহনের মালিকগণদের দিয়ে সবার ক্ষতি করে যানবাহন বন্ধ করতে দিতে পারে।
প্রধান অতিথি বলেন, যেখানেই বাধা সেখানেই প্রতিরোধ । এই নীতিতে চলতে হবে। কারন এই ফ্যাস্টিস্ট সরকারের নির্যাতন, খুন, গুম এর অত্যাচারে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে দেশের মানুষ অত্যন্ত খারাপ সময় পার করছে। যে কোন সময়ে দেশ দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে বিএনপি, অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের ন্যায় কৃষকদলও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সবাইকে একসাথে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কৃষকদল রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফৌজদার শফিকুল ইসলাম বেলাল, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শামসুর রহমান শামস্, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু ও আল-আমিন সরকার টিটু। এছাড়াও রাজশাহী জেলার ২৩টি ইউনিটের কৃষকদলের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।