বাড়িতে ও হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ নিচ্ছেন রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৬ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৩৯ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপির খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশে আসা-যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন সরকার সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত শতাধিক নেতাকর্মীকে দেখতে ও খোঁজখবর নিতে তাদের বাড়িতে এবং হাসপাতালে ছুটে গেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গত মঙ্গলবার সকালে প্রথমে যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর, খুলনার ফুলতলা, খালিশপুর ও বাগেরহাটের মোংলায় আহতদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে দিনভর তাদের সাথে কথা বলে তাদের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
আজ বুধবার সকালে নড়াইল শহরে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি মনিরুল ইসলামের বাসভবনে মুন্না, ইয়ার আলী, রূপকুমার, মাহমুদ দারোগা, মনির, শায়রুলসহ যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের ডেকে খোঁজখবর নেন এবং তাদেরকে সান্ত¡না দেন। এরপর তিনি চুয়াডাঙ্গার সরজ গঞ্জে আহত নেতা মাহবুবুর রহমান, তুহিন, সবুজ, সাকিব, নয়নের খোঁজ খবর নেন।
জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে প্রথমে যশোর ও পরে খুলনা এবং মোংলায় যান রুহুল কবির রিজভী। কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামের বিএনপি নেতা মাজেদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও জিরাবুল ইসলামের বাড়িতে যান এবং বাকি আহত সকল নেতার সাথে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন। পরে রিজভী খুলনার ফুলতলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দলের আহত ৪৮ জন নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে কুশল বিনিময় ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এ ছাড়া তিনি যশোরের মনিরামপুরে পাঁচজন আহত নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন। খুলনার আহত নেতাদের অন্যতম হলেন, আবুল বাশার, আনোয়ার, মফিজ চেয়ারম্যান ও বাবু এবং মনিরামপুরের আহতরা হলেন- আব্দুর রহিম শেখ ও মমতাজুল ইসলাম এবং খালিশপুরের বাবু প্রমুখ। ফুলতলায় এ সময় উপস্থিত ছিল খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, জেলা সভাপতি আমির এজাজ খান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ। পরে মোংলায় আহত ১৪ জনের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন।
এ সকল স্থানে রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আহত নেতাকর্মীদেরকে দেখতে এসেছি। যারা গত শনিবার খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদানের আগে ও পরে প্রশাসন এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং জখম হয়েছেন তাদেরকে দেখতে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসলে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতায় আছে দেশের জনগণ। জনগণ তাকে ত্যাজ্য করেছে। যে কারণে তারা জোর জুলুম চালাচ্ছে। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করে রিজভী বলেন, আমাদেরকে আরও তেজোদীপ্ত ও শক্তিশালী হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় হামলা সত্ত্বেও খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ সফল হয়েছে। এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য সরকারের ইশারাতে বাস মালিকরা হরতাল ডাকেন। তারপরও এই সমাবেশ সফল হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পায়ে হেঁটে, ভ্যানে, ট্রেনে এবং নৌকায় করে সমাবেশস্থলে আসেন। এ সময় খুলনার প্রতিটা সড়কের মোড়ে মোড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। হামলায় শত শত নেতা-কর্মী বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। তাই এ সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবব্ধ হয়ে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে।