এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না : আমির খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৬ পিএম, ২৬ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবো, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি ও সরকার গঠন করবে।
আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারের আয়োজিত গণঅধিকার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আজকের এই প্রেক্ষাপটে কারা জনগণের পক্ষে অবস্থান করছে, আর কারা ফ্যাসিস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে গিয়ে জাতির বিরুদ্ধচারণ করছে, তা জাতি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবো।
খসরু বলেন, বিএনপির জনসভায় এতো বাঁধা-বিপত্তির পরেও মানুষ সেখানে আসছে। দেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছে, রাস্তায় নেমে সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া মুক্তির কোন পথ নাই। আমরা আশা করি, যে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে যার যার অবস্থান থেকে আগামী দিনগুলোতে রাস্তায় থেকে ফ্যাসিস্টের পতন ঘটাতে ত্বরান্বিত করবে।
একই অনুষ্ঠানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা যে চেতনায়, মানসিকতায়, ইচ্ছায় পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তার তেমন কিছুই বাস্তবায়িত হয় নাই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিলো গণতন্ত্র নিরাপদ হবে, পাকিস্তানের বাইশ ধনী পরিবারের হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো। কিন্তু এর কিছুই আমরা পাই নাই।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধানসমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, এমন একটা সরকার ক্ষমতায় রয়েছে যারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। যারা প্রকাশ্যে ভোট চুরিকে জায়েজ করতে চেষ্টা করে। কখন মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান দিয়ে, কখনো প্রোগৈতিশীলতার স্লোগান দিয়ে, কখনো উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্তে যেতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্ত হচ্ছে গণতান্ত্রিক বন্দবস্ত। যেখানে নাগরিক অধিকার থাকবে। কোনো শাসক জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার সুযোগ পাবে না।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, সমাজে একটা নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে। সরকার রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই আমরা বলছি, অন্তবর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আপনারা বিদায় নেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে বারবার দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন কেন? আপনারা উন্নয়নের মহাসড়কের কথা তুললেন। এখন খাদের কিনারায় কেন নিয়ে এসেছেন? হাতিরঝিলের লাইট জ্বালিয়ে শতভাগ বিদ্যুতের উৎসব করলেন এখন কেন জ্বালানি আমদানি করতে পারছেন না। যে সংকট ধেয়ে আসছে তাতে ব্যবসায়ী, শিক্ষক, আমলা, শ্রমজীবী মানুষ কেউ এর থেকে রেহাই পাবে না। আজকে যদি দেশকে বাঁচাতে হয় এই সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নাই।
ফরহাদ মাজহার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন চায় সুতরাং দেশে নির্বাচন হবে, বিএনপির কাজ হচ্ছে সকলকে নিয়ে বৃহত্তর জোট গড়ে তোলা।
এসময় মেজর অব. জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মেজর জেনারেল অব. আমসা আমিন, ড.আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া প্রমুখ বক্তৃতা করেন।